দিল্লি, ১৬ নভেম্বর – ক্রমশই থাবা চওড়া হচ্ছে জিকা ভাইরাসের৷ বেঙ্গালুরু, কর্ণাটকের পরই পাশের রাজ্য মহারাষ্ট্রে পরপর সাতজন জিকা আক্রান্তের খবর মিলেছে৷ সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে পরপর সাত জন জিকা আক্রান্তের খবর হওয়ার পরই সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়৷ সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্্য দফতরও৷ সপ্তাহখানেক আগেই প্রথমে বেঙ্গালুরু এবং তারপর কর্নাটকের অন্যান্য জেলায় ধরা পড়েছিল জিকা ভাইরাস৷ এরপরই পাশের রাজ্য মহারাষ্ট্রে একটার পর একটা জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনা সামনে আসছে৷
সম্প্রতি পুনেতেও এক মহিলার শরীরে জিকা ভাইরাস পাওয়া যায়৷ তিনি ইয়েরওয়াড়া এলাকার প্রতীক নগরের বাসিন্দা৷ গত ৫ নভেম্বর থেকে তাঁর জ্বর, গা-হাত-পা ব্যথা, ফুসকুড়ির মতো বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়৷ ৯ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৬৪ বছর বয়সি ওই মহিলাকে৷ পুনের জাহাঙ্গির হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, ওই মহিলা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত৷ রোগীর পরিবার সূত্রে খবর, গত অক্টোবরে মহিলা কেরলে গিয়েছিলেন৷ ফেরার সময় কর্নাটক হয়ে ফেরেন৷ মনে করা হচ্ছে, খুব সম্ভবত সেইসময়েই তিনি অন্য কোনও জিকা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন৷ বাড়ি ফেরার পর তাঁর শরীরেও বাসা বাঁধে জিকা ভাইরাস৷ তবে আপাতত তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন৷ তাঁর পরিবারের কারও শরীরে জিকার উপসর্গ পাওয়া যায়নি৷ তবে পরপর ৭ জন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতেই মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দফতরের কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ চওড়া হচ্ছে৷
মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ দিয়েছে যে, রাজ্যের প্রতি ৫ কিলোমিটারের মধ্যে গর্ভবতী মহিলাদের চিহ্নিত করা এবং তাঁদের প্রসবের পরে লক্ষ্য রাখা৷ সন্তান বা মায়েদের মধ্যে জিকার কোনওরকম উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কিনা, সেদিকে নজে রাখার কথা বলা হয়েছে৷ চিকিৎসকদের মতে, মহারাষ্ট্রে গত ৩ বছরে মোট ১০ জন জিকা রোগীর সন্ধান মেলে৷ তবে কোনও জটিলতা হয়নি৷ কিন্ত্ত সদ্যোজাত সন্তান বা গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস ঝঁুকিপূর্ণ হতে পারে৷