প্রায় ১০ মাস পর সশরীরে আদালতে হাজিরা দিলেন অর্পিতা

অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Photo: Kuntal Chakrabarty/IANS)

কলকাতা , ২৯ মে – গ্রেফতার হওয়ার প্রায় ১০ মাস পর সশরীরে আদালতে হাজিরা দিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তাঁর দক্ষিণ কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমান টাকা উদ্ধার হয়। গত বছর ২৩ জুলাই গ্রেফতার হন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তার পর কয়েকবার তাঁকে আদালতে পেশ করে ইডি। কিন্তু জেল হেফাজতের নির্দেশের পর অর্পিতাকে নিরাপত্তা জনিত কারণে প্রেসিডেন্সি জেলের বাইরে বার করা হয়নি, ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস পর সশরীরে আদালতে হাজিরা দিলেন অর্পিতা।

সোমবার আলিপুর আদালতে প্রিজন ভ্যান থেকে অর্পিতা নামতেই সাংবাদিকদের তরফ থেকে অসংখ্য প্রশ্নবান ছুটে আসে। কিন্তু তিনি কোনও প্রশ্নেরই জবাব দেননি। আড়িপাত এদিন সোজা কোর্ট লক আপে ঢুকে পড়েন।

গত বছর ২৩ জুলাই ইডির আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সেই একই দিনে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেও। এরপর কেটে গেছে ১০ মাসেরও বেশি সময়।বর্তমানে তাঁর ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার। শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে  সমান্তরালভাবে তদন্ত শুরু করে ইডিও। সেই সূত্রে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ৫০ কোটি টাকার বেশি। কোথা থেক এত টাকা তাঁর বাড়িয়ে এল , তার কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় গ্রেফতার করে ইডি। অর্পিতার দাবি ছিল, এই টাকা তাঁর নয়। তারপর থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি। তবে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে যে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল, সে টাকা কার তার হদিশ এখনও মেলেনি।


এর আগে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেও এদিন কোনও উত্তর দেননি তিনি। এর আগে তিনি বলেছিলেন, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা তাঁর নয়। তাঁকে ‘ফাঁসানো’ হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। অর্পিতা তখন বলেছিলেন, ”একজন মহিলাকে আটকে রেখে তাঁর মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে? আমি অত্যন্ত উচ্চ বংশের মেয়ে। আমার মা অসুস্থ। তাঁর পাশে থাকতে হবে।” তবে সোমবার তিনি কোনও উত্তর দেননি।

মাঝে দীর্ঘদিন জামিনের আবেদন না করলেও এতদিন পর প্রথমবার জামিনের আবেদন করলেন অর্পিতা। সোমবার এই জামিনের আবেদন মামলার শুনানি ।