স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য, ওই তরুণী একজন বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এই অভিযোগে তাঁকে চরম শাস্তি হিসেবে প্রকাশ্যে পাথর ছুঁড়ে মারার নিদান দেয় তালিবান প্রশাসন। শুক্রবার সেই শাস্তি দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই তরুণী নিজের ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। যে বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর, ইতিমধ্যে তাঁকে সর্বোচ্চ সাজা প্রাণদণ্ড দিয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ওই সাজা কার্যকর হয়।
মধ্যযুগীয় শাস্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ঘোর প্রদেশের তালিব পুলিশপ্রধান অবদুল রহমান জানান, মহিলা জেলের অপ্রতুলতার কারণেই মেয়েদের পাথর ছুঁড়ে হত্যা অথবা বেত্রাঘাতের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের। উল্লেখ্য, তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে মহিলাদের বাড়ি ছেড়ে পালানোর ঘটনা বাড়ছে। বিভিন্ন প্রদেশ একাধিক এমন ঘটনা সামনে এসেছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর জন্য দায়ী মহিলাদের প্রতি নিষ্ঠুর হয়ে ওঠা তালিব প্রশাসন। মেয়েদের উপর একের পর এক কঠোর সামাজিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তাদের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়াগুলি জানাচ্ছে, বেশকিছু প্রদেশে বয়স ছয় বছরের বেশি হলে মেয়েদের স্কুলে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কর্মক্ষেত্রেও তাঁরা বঞ্চিত। এমনকী বাস-ট্যাক্সি চালকরা পর্যন্ত তালিবানদের ভয়ে ভাড়া দিলেও মেয়েদের গাড়িতে উঠতে দিতে নারাজ। একটি পরিসংখ্যানে জানা গিয়েছে, তালিবান আমলে আফগান সংবাদমাধ্যম থেকে কাজ হারিয়েছেন ৮০ শতাংশ মহিলা কর্মী।