২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল তাঁর পুরনো কেন্দ্র আমেথির পাশাপাশি কেরলের ওয়ানাড় আসন থেকেও প্রার্থী হন। আমেথিতে বিজেপির নেত্রী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হেরে যান তিনি। অন্যদিকে, বিপুল ভোটে জিতে ফের সংসদে যান কেরালা থেকে। রাহুলের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাম মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় । ওয়ানাড আসনে লড়াই করে কেরলের সিপিএম নেতৃত্বাধীন লেফট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের শরিক সিপিআই।
মঙ্গলবার সিপিআইয়ের প্রবীণ নেতা ও মন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসের এখন লক্ষ্য হওয়া উচিত উত্তর ভারতের হিন্দি বলয়ে দলকে শক্তিশালী করা। রাহুল সত্যিই বিজেপিকে মোকাবিলা করতে চাইলে ঝুঁকি নিয়ে হলেও উত্তর ভারত থেকে লড়াই করা উচিত। কারণ, কেরালায় বিজেপির কোনও অস্তিত্ব নেই। সদ্য রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে। বিজেপি তিন রাজ্য জিতলেও পদ্ম শিবির এখনও কংগ্রেসকে সরাসরি তীব্র আক্রমণের পথে হাঁটেনি। হাত শিবিরকে বরং বিপাকে ফেলেছে ইন্ডিয়া জোটের শরিকেরা। কংগ্রেসের বিজেপি বিরোধিতার ইচ্ছা এবং শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে শরিক দলগুলি।
রবিবার ফল প্রকাশের দিনই কংগ্রেসকে সতর্ক করে বিবৃতি দেন দুই কমিউনিস্ট পার্টি সিপিএম ও সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে সীতারাম ইয়েচুরি এবং ডি রাজা। এবার জোটের বার্তা জোরদার করতে রাহুলের কেরলের ওয়ানাড় থেকে প্রার্থী না হওয়ার দাবি তুলল শরিক সিপিআই।
প্রসঙ্গত এর আগেও রাহুলকে ওয়ানার থেকে নির্বাচনে না লড়ার জন্য আলোচনা হয় সিপিআই-য়ের জাতীয় স্তরের বৈঠকে। সিপিআই চেয়ে এসেছে কেরালায় রাহুল গান্ধি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ুন। যেহেতু দুটি দলই ইন্ডিয়া জোটের অন্তর্ভুক্ত। কেরালায় সিপিএম-এর পর দ্বিতীয় বৃহত্তম বামপন্থী দল সিপিআই। ২০০৯ থেকে ওয়ানারে ভোটে প্রার্থী দেয় এই দল। গত তিনবারের নির্বাচনে কংগ্রেস খুব সহজে জয় পেয়েছে এই কেন্দ্রে। বিশেষ করে ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধি ৪ লক্ষ ৩১ হাজার ভোটে জয়ী হন।