বেঙ্গালুরু, ১৮ সেপ্টেম্বর – ইসরোর সৌরযান আদিত্য এল ১ মহাকাশে তার কাজ শুরু করে দিল। ইসরোর সৌরযান পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে বিদায় নিয়ে সূর্যের দিকে ছুটছে। তার আগেই বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করল আদিত্য। যান্ত্রিক সেন্সরগুলি পৃথিবী থেকে ৫০ হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে সুপার-থার্মাল এবং শক্তিশালী আয়ন এবং ইলেকট্রন পরিমাপের্ কাজ শুরু করেছে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদের পৃথিবীর চারপাশের কণার আচরণ বুঝতে সাহায্য করবে।
আদিত্যযান উৎক্ষেপণের পর এখনও পর্যন্ত চারবার খুব সহজেই কক্ষপথ পরিবর্তনে সফল হয়েছে । এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভোররাতে সফল ভাবে কক্ষপথ বদল করে আদিত্য। এই আবহে পৃথিবীর মায়া অনেকটাই কাটিয়ে ফেলে ইসরোর এই মহাকাশযান। এরপর সোমবার শেষবারের মতো কক্ষপথ বদল করে নিজের গন্তব্যের দিকে ছুটবে আদিত্য।
আদিত্য এল-১ মিশনের এই ‘এল-১’ পয়েন্ট হল ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট। পৃথিবী ও সূর্যের মাঝামাঝি এই পয়েন্টে গিয়ে পৃথিবী ও সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ব্যালান্স হয়ে যায়। এখানে গেলে স্পেসক্রাফট খুব কম জ্বালানিতে দীর্ঘসময় স্থির হয়ে থাকতে পারে। আর ওই পয়েন্ট থেকে সূর্যকে কাছ থেকে দেখা সম্ভব। এই ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট এমন এক মধ্যবর্তী জায়গা যেখানে সূর্য ও পৃথিবীর আকর্ষণ সরাসরি পড়বে না মহাকাশযানে । ফলে সেটি সূর্যের দিকে এগিয়ে যাবে না আবার পৃথিবীর দিকে পিছিয়েও আসবে না। সূর্যের গনগন আগুনে তেজ কোনও ক্ষতি করতে পারবে না । স্থির হয়ে সূর্যের ছবি তুলবে, সূর্যের করোনার খবর পাঠাবে পৃথিবীর গ্রাউন্ড স্টেশনে।
আদিত্য এল১ যানটিতে মোট সাতটি পেলোড আছে। এগুলি সূর্যের বিভিন্ন স্তর খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ফটোস্ফিয়ার থেকে ক্রোমোস্ফিয়ার কিংবা সূর্যের একেবারে বাইরের দিকের স্তর করোনা পর্যবেক্ষণ করবে এই পেলোডগুলি। ভিসিবল এমিশন লাইন করোনাগ্রাফি এবং সোলার আল্ট্রাভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপনামে দু’টি মূল পেলোড রয়েছে । ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট পৌঁছানোর পরে এই ভিইএলসি পেলোড প্রতিদিন ১,৪৪০টি ছবি তুলে পাঠাবে।