মুম্বাই , ২ ফেব্রুয়ারী — মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকে আদানিদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দাম হুহু করে পড়ছে।গত কয়েকদিনে আদানি গোষ্ঠীর অধিনস্ত বিভিন্ন সংস্থার সম্মিলিতভাবে ১০,০০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এই অবস্থায় যে সমস্ত ব্যাংকের সঙ্গে আদানির সংস্থার লেনদেন চলে সেগুলির দিকে নজর রাখছে আরবিআই। ব্যাংক থেকে আদানিদের নেওয়া ঋণগুলির পরিস্থিতি কী, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, শেয়ার বিক্রির সময় কোনও অনিময় করা হয়েছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী , যেসব ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থা আদানি গোষ্ঠীর অধীনে থাকা কোনও সংস্থাকে ঋণ দিয়েছে, তাদের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছে আরবিআই। কোন ব্যাঙ্ক থেকে আদানিগোষ্ঠী কত টাকা ঋণ নিয়েছে, সেই ঋণ নেওয়ার জন্য কী জামানত ব্যবহার করেছে, সেই সবের বিবরণ জানতে চাওয়া হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি বিবৃতি দেয়নি। আদানি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি। বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির পক্ষ থেকেও আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দামের পতনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, মেয়াদী ঋণ, মূলধন এবং অন্যান্য আর্থিক সহায়তা মিলিয়ে আদানি গোষ্ঠীর মোট ব্যাঙ্ক ঋণের পরিমাণ, এই গোষ্ঠীর মোট ঋণের মাত্র ৩৮ শতাংশ। ঋণের ৩৭ শতাংশ হল বন্ড বা বাণিজ্যিক নথিপত্র। ১১ শতাংশ ধার করা হয়েছে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এবং বাকি ১২-১৩ শতাংশ গোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ ঋণ। আদানি গোষ্ঠীর ঋণদাতাদের মধ্যে রয়েছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক ইত্যাদি।
সিওএনবিসি-টিভি১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আদানি গোষ্ঠীর সিইও জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বাজারে আদানি গোষ্ঠীর মোট ঋণের পরিমাণ ৩০০০ কোটি ডলার। এরমধ্যে ৯০০ কোটি ডলার ধার করা হয়েছে বিভিন্ন ভারতীয় ব্যাঙ্ক থেকে। কাজেই আদানি গোষ্ঠী যদি কোনওভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে, তাহলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলিকেও। সেক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষই ।