মুম্বই, ১৫ নভেম্বর– গৌতম আদানি গোষ্ঠীর অন্যতম সংস্থা আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের (এজিইএল) এক উপদেষ্টা ঠাঁই পেয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের একটি কমিটিতে৷ যার জেরে শুরু হয়েছে বিতর্ক, রাজনৈতিক তরজাও৷ কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব৷ এথিক্স কমিটির তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করলেও এ বিষয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র৷
উল্লেখ্য, এজিইএল-এর অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা জনার্দন চৌধুরিকে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের একটি কমিটির সাত ‘নন ইনস্টিটিউশনাল’ সদস্যের মধ্যে একজন হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে৷ সেপ্টেম্বরে জলবিদু্যৎ এবং নদী উপত্যকা প্রকল্পের জন্য বিশেষজ্ঞ মূল্যায়ন কমিটি পুনর্গঠন করার সময় এই পদক্ষেপ করা হয়৷ গত ১৭-১৮ অক্টোবর কমিটির বৈঠকে মূল্যায়ন করা হয় এজিইএল-এর ১,৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তারালি পাম্পিং স্টোরেজ প্রকল্পটি৷ যেটি মহারাষ্ট্রের সাতারায় তৈরি হচ্ছে৷
পরিবেশ মন্ত্রকের এই কমিটির প্রাথমিক কাজ, প্রকল্পগুলির সম্ভাব্য ভালো-মন্দের প্রভাব মূল্যায়ন করে সে বিষয়ে মন্ত্রকের কাছে সুপারিশ করা৷ যার উপর ভিত্তি করে মন্ত্রক প্রকল্প খারিজ করবে কি না বা ক্ষতিকর প্রভাব প্রশমিত করার জন্য বা ক্ষতিপূরণের জন্য নির্দিষ্ট শর্ত দিয়ে ছাড়পত্র দেবে কি না, তার সিদ্ধান্ত নেয়৷ ফলে এই কমিটির ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ৷
পরিবেশ মন্ত্রকের পোর্টালে বৈঠকের আলোচ্যসূচি থেকেই বিষয়টি জানা গিয়েছে৷ যদিও জনার্দন চৌধুরির দাবি, বৈঠকে থাকলেও এজিইএল-এর প্রকল্প নিয়ে আলোচনায় তিনি অংশ নেওয়া থেকে বিরত ছিলেন৷ তাঁর আরও দাবি, তিনি এজিইএল-এর উপদেষ্টা৷ সংস্থার বেতনভুক কর্মী নন৷