• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

রাজ্যের আবেদন মেনে ৮২২ কোম্পানি বাহিনীই মঞ্জুর করল কেন্দ্র, রাজ্যে আসছে আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

কলকাতা, ৩ জুলাই –  পঞ্চায়েত ভোটের চার দিন আগে অবশেষে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জটিলতা কাটল। রাজ্যের আবেদন মেনে ৮২২ কোম্পানি বাহিনীই মঞ্জুর করল কেন্দ্র ।  অর্থাৎ রাজ্যে আসছে আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে এই বাহিনী পাঠানোর বিষয়টি  জানানো হয়। এর আগে প্রথম দফায় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং

কলকাতা, ৩ জুলাই –  পঞ্চায়েত ভোটের চার দিন আগে অবশেষে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জটিলতা কাটল। রাজ্যের আবেদন মেনে ৮২২ কোম্পানি বাহিনীই মঞ্জুর করল কেন্দ্র ।  অর্থাৎ রাজ্যে আসছে আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে এই বাহিনী পাঠানোর বিষয়টি  জানানো হয়। এর আগে প্রথম দফায় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পরে আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসে। তৃতীয় দফায় ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে রাজ্যে।  অর্থাৎ ৮২২ কোম্পানির নজরদারিতে বাংলায় এক দফায় ভোট হচ্ছে ৮ জুলাই।

রাজ্যে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার পর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রের কাছে কমিশনের তরফে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হয় । আগেই ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। ওই ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীর জওয়ানরা রাজ্যে আসতেও শুরু করেছেন। এ ছাড়াও ২০টি রাজ্য থেকে আসবে ১৬২ কোম্পানি বাহিনী।

প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার মতো বাহিনী হাতে নেই তা এদিন পরিসংখ্যান দিয়ে স্পষ্ট করে নির্বাচন কমিশন। সমাধান হিসেবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে কমিশন জানায় , ‘মোবাইল ইউনিট হিসাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী পোলিং বুথে যেতে পারে। কারণ, মোট পোলিং বুথ ৬১৬৩৬। তার মধ্যে ৪৪৮৪২ টি জায়গায় একজন করেও যদি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান দেওয়া হয়, তাহলে যত সংখ্যক জওয়ান প্রয়োজন, সেই সংখ্যার বাহিনী আমাদের হাতে নেই। সেক্ষেত্রে ৫-৬ জনের ইউনিটে চার পাঁচটা করে বুথের উপর নজর রাখবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত একটি মামলায় কমিশনের আইনজীবী বলেন, “সাধারণত স্পর্শকাতর বুথে অতিরিক্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তবে এখন যা কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে তাতে প্রতি বুথে দেওয়া সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের আস্থা বাড়ানো এবং এলাকা টহলদারির জন্য রাখার চিন্তা করা হয়েছে। কারণ, ৮২২ কোম্পানি বাহিনীর ব্যবস্থা করা যায়নি। কেন্দ্র ৩৩৭ কোম্পানি দেবে বলেছে। তার মধ্যে ১১৩ কোম্পানি বাহিনী এখনও আসেনি।” তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ঘোষণার পর মোট ৮২২ কোম্পানি বাহিনীই পেতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

 কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোট করানোর দাবিতে প্রথম থেকেই সরব ছিল বিরোধীরা। পরে এই নিয়ে আইনি লড়াইয়ে শামিল হয় রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কমিশন। হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। তার পরই কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠায় কমিশন। অন্তত কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৮২ হাজার জওয়ান মোতায়েনের নির্দেশ দেয় আদালত।

তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ,  এই ৪৮৫ কোম্পানি কবে এ রাজ্যে এসে পৌঁছবে? সেই বাহিনী পৌঁছনোর ধকল কাটিয়ে, রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এলাকা চেনার কাজ  , এলাকার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সময় কখন পাবে ? কারণ ভোটের মাত্র চার দিন বাকি।  ভোটারদের নিরাপত্তা রক্ষা করতে এবং অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে বাহিনীই যখন ভরসা।