বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সোডিয়াম-পটাশিয়াম রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন চিকিৎসকরা। সেই রিপোর্ট ঠিক রয়েছে। সংক্রমণের কারণে কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আপাতত তাঁর ক্রিয়েটিনিনও আগের চেয়ে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আপাতত পাঁচ দিনের অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ চলবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। তবে এখনও রাইলস টিউব দিয়েই খাওয়ানো হচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। রাতেই তাঁকে পালমোনারি ফিজিয়োথেরাপি করানো হয়েছিল। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা অনেকটাই কেটে যাবে। ওষুধের প্রভাবে যে তন্দ্রাভাব ছিল তাঁর, তাও প্রায় পুরোপুরি কেটে গেছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শ্বাসকষ্ট অনেকটা কমে যাওয়ায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বাড়ি ফিরে যেতে চাইছেন । কিন্তু আপাতত ৬ থেকে ৭ ঘন্টা করে রুটিন ঠিক করে বাইপ্যাপ দেওয়া হবে তাঁকে। যদিও বেশিক্ষণ বাইপ্যাপ সাপোর্টেও থাকতে চাইছেন না বুদ্ধদেব। বারবার চিকিৎসকদের বাইপ্যাপ খুলে দিতে বলছেন। সাধারণভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে চাইছেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁর ফের সিআরপি টেস্ট হওয়ার কথা।
গত ২৯ জুলাই তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রবীণ রাজনীতিবিদ তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। বুদ্ধদেবের চিকিৎসায় গঠন করা হয় মেডিক্যাল বোর্ড। ওই দলে রয়েছেন মেডিসিনের চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী , ক্রিটিকাল কেয়ারের সৌতিক পাণ্ডা ও সুস্মিতা দেবনাথ, হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ সরোজ মণ্ডল, ইন্টারনাল মেডিসিন এবং পালমনোলজির অঙ্কন বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্টারনাল মেডিসিন এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ারের ধ্রুব ভট্টাচার্য ছাড়াও মেডিক্যাল টিমে রয়েছেন আশিস পাত্র , দীপনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, সেমন্তী চক্রবর্তী, সোমনাথ মাইতি, সপ্তর্ষি বসুর মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা ।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ফুসফুসের সিটি স্ক্যান করা হয় সোমবার৷ সেই স্ক্যানের রিপোর্টে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, নতুন করে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ফুসফুসের সংক্রমণ বাড়েনি৷ অর্থাৎ যে অ্যান্টিবায়োটিক তাঁকে দেওয়া হয়, তা কাজ করছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা৷ ফুসফুসের সংক্রমণ কমাতে এখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে চেস্ট ফিজিওথেরাপি দেওয়া হবে। এদিকে একটু সুস্থ হতেই বাড়ি ফিরতে চান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। চিকিৎসকদের কাছে বাড়ি ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।