সিসোদিয়ার গ্রেফতারিতে একঘরে কংগ্রেস

দিল্লি, ৮মার্চ– মনীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতরি দিল্লির আম আদমি পার্টিকে বিপাকে ফেলার জন্য যথেষ্ট। মানুষের আগে দিল্লি সরকারের আর এক মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তবে সিসোদিয়ার গ্রেফতারি ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে এক বিচিত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কংগ্রেসকে ঘিরে। বিরোধী শিবিরে আচমকাই একঘরে হয়ে পড়েছে শতাব্দী প্রাচীন এই দলটি।

গত সপ্তাহে মণীশকে গ্রেফতার করে সিবিআই। নিম্ন আদালত এবং হাইকোর্টে তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে গত রবিবার বিরোধী শিবিরের আটজন নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে মণীশের গ্রেফতারির নিন্দা করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার এজেন্সি দিয়ে বিরোধী নেতাদের কণ্ঠরোধ করছে। অথচ সেই নেতারাই বিজেপিতে যোগ দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে তদম্ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়া সেই নেতাদের তালিকায় বাংলার শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়ের নাম রয়েছে।প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখা সেই নেতাদের তালিকা আট থেকে বেড়ে এখন দশ হয়েছে। একই দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আলাদা চিঠি লিখেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন এবং কেরলের পিনারাই বিজয়ন।

রবিবারের চিঠিতে সই ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পাঞ্জাবের ভগবত মান এবং তেলেঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের। এছাড়া স্বাক্ষর করেছিলেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, শিবসেনা (ইউবিটি)-র উদ্ধব ঠাকরে, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব প্রমুখের।


কংগ্রেসের কাউকে ওই চিঠিতে স্বাক্ষরের জন্য অনুরোধ করা হয়নি। সূত্রের খবর, গোটা উদ্যোগের পিছনে ছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর। কংগ্রেসকে যেমন সই করার অনুরোধ জানানো হয়নি, তেমনই তারা মণীশের গ্রেফতারির সমালোচনা করে কোনও বিবৃতি দেয়নি। কংগ্রেসের মুখপাত্রদের বক্তব্য, বিরোধী দলের কেউ গ্রেফতার হলে আম আদমি পার্টি উচ্চবাচ্য করে না। সেই কারণে তারাও মণীশের গ্রেফতারি নিয়ে নীরব থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, গত বছর সনিয়া গান্ধী ও রাহুলকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জেরা করার সময় বিরোধী শিবিরের নেতারা সরব হলেও মুখ খোলেনি আপ। সেই কারণেই কংগ্রেস মণীশের গ্রেফতারি নিয়ে নীরব।

কিন্তু সেই প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে গিয়ে শতাব্দী প্রাচীন দলটি বিরোধী শিবিরে আচমকাই একঘরে হয়ে পড়েছে। এমনকী তাদের জোট শরিকেরা পর্যন্ত মণীশের গ্রেফতারির ইস্যুতে কংগ্রেসের সঙ্গে তাল মেলায়নি।