দিল্লি, ৯ নভেম্বর – বন্দিদের জন্য বাধ্যতামূলক হতে চলেছে আধার কার্ড৷ এই নিয়ম কার্যকর করতে থেকে এবার আধার কার্ডের নম্বর জমা নেবে জেল কর্তৃপক্ষ৷ একই সঙ্গে জেলবন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে এবার থেকে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা হবে৷ প্রাথমিক ভাবে দেশের জন্য ১৩০০ টি জেলে এই নিয়ম কার্যকর করার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ পরিচয় নিয়ে জালিয়াতি রোধ করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়েছে৷
জেলের বন্দিদের ক্ষেত্রে এমন বহু অভিযোগ রয়েছে যে একজনের হয়ে অন্যজন জেল খেটেছেন৷ কিংবা একজন লোকের নাম করে অন্যজন কোন বন্দির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন৷ সঠিক পরিচয় নিয়ে জালিয়াতি রুখতে এবার থেকে আধারের তথ্য খতিয়ে দেখা হবে৷ পাশাপাশি যে বা যাঁরা বন্দির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন তাঁর বা তাঁদেরও আধার কার্ড বাধ্যতামূলক হতে চলেছে৷ অর্থাৎ আধার কার্ড সঙ্গে না থাকলে কোন বন্দির সঙ্গে দেখা করা যাবে না৷ কারাদপ্তর এই নিয়ে আগে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে৷ সেই বিজ্ঞপ্তিতে জেলে বন্দি ও তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসা ব্যক্তিদের আধার তথ্য জমা দেওয়ার কথা বলা হয়৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছে, জাতীয় তথ্যবিজ্ঞান কেন্দ্র বন্দি এবং দর্শনার্থীদের আধার লিঙ্কিং/প্রমাণের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি তৈরি করেছে৷ ২৯ সেপ্টেম্বর,২০২৩-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্দিদের ক্ষেত্রে আধার কার্ডের তথ্য জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হতে হবে রাজ্য সরকারগুলিকে৷ আধার তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তাও নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারগুলিকে৷ পাশাপাশি বন্দিদের সঙ্গে কারা দেখা করতে আসছেন তাঁদের আধার পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখার ব্যাপারে উদ্যোগী হতে বলা হয় রাজ্য সরকারগুলিকে৷
সমগ্র দেশে জেলগুলিতে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে বন্দিদের সংখ্যা৷ ফলে কারা কর্তৃপক্ষ সমস্ত বন্দিদের পরিচয় এবং তাদের রেকর্ড সনাক্ত করতে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে৷ সেই কারণে এই নিয়ম কার্যকর করতে কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশিকাগুলি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে মেনে চলতে হবে৷ বন্দিদের ও তাঁদের সঙ্গে যাঁরা দেখা করতে আসবেন তাঁদের আধার কার্ড পরীক্ষা করে দেখার পদক্ষেপকে ন্যায্য বলে মনে করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ একটি নোটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কারাগারের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ ফলে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ৷