হাওড়া, ২০ সেপ্টেম্বর – উৎসবের মরসুমে বাংলায় ইলিশেরও মরশুম। বাঙালির পাতে বাংলাদেশের ইলিশ কোনও ব্যাপারই নয়। দুর্গাপুজো উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গে ৩,৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির ছাড়পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। প্রতিবেশী দেশ পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ রফতানির জন্য ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত সংস্থাগুলির প্রতিটিকে ৫০ টন করে ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই পেট্রাপোলে সীমান্তে চলে আসছে বিপুল পরিমান ইলিশ। ‘ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক আনোয়ার মাকসুদ বলেন, ‘‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের তরফে ৩,৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি পেয়েছি। আগামিকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে বাংলাদেশের ইলিশ। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এই ইলিশ চলে আসবে রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গের বাজারে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বাংলাদেশি ইলিশ পাওয়া যাবে।’’ মাকসুদ জানান, থাকবে।‘‘শুরুর দিকে দাম হয়তো একটু বেশি থাকবে। ১ কেজি ইলিশ পাইকারি বাজারে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে। ৭০০ গ্রামের ইলিশ ৭০০-৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হবে। নভেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত এই ইলিশ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে পাওয়া যাবে।’’
উল্লেখ্য, ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ ছিল। ২০১৯ সাল থেকে আবার রফতানি শুরু হয়। ২০২০ সালে আমদানি হয় ১,৮৫০ মেট্রিক টন। ২০২১ সালে ১,২০০ মেট্রিক টন। একই ভাবে ২০২২ সালে ২,৯০০ মেট্রিক টন পর্যন্ত ইলিশ রফতানির কথা জানায় বাংলাদেশ। রাজ্যে শেষ পর্যন্ত ১,৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ ঢোকে। আগামী ২০ অক্টোবর থেকে দুর্গাপুজো। কিন্তু বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অক্টোবর মাসেই ২২ দিনের জন্য মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রাখছে সে দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রক। তার আগেই বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ রফতানির অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে।