রান্নায় স্বাদ আনতে আদা খুবই দরকারি একটি উপাদান। তবে শুধুমাত্র রান্নার মশলা হিসেবে নয়, নানা রোগভোগের চিকিৎসায় আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। পেটের গোলযোগ, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, ফ্লু, বমি বমি ভাবের মতো সমস্যা আদা খুব প্রয়োজনীয়। গলা খুশখুশে এক কাপ আদা চা বা এক টুকরো আদা খেলেই এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়। আদাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যের বর্তমান। যা আপনার ত্বক, চুল এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। প্রতি দিন এক গ্লাস আদা দিয়ে ফোটানো জল খেলে নানারকম রোগ থেকে উপশম পাওয়া যাবে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই আদা জলের কী কী উপকারিতা।
১)কোলেস্টেরল লেভেল কমায়:-
শরীরে উচ্চ মাত্রায় খারাপ কোলেস্টেরল হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। আদার জল কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ফলে হার্টের রোগ ও স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিও কমে। ২)অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ:-
আদার জল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ, যা ফ্রি ব়্যাডিকেলের হাত থেকে আমাদের শরীরকে বাঁচায় এবং ক্যান্সার, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
৩)রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:-
আদায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই, নিয়মিত আদার জল পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এটি সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ও ফ্লু-র চিকিৎসায়ও দারুণ কাজ করে। ৪)ওজন কমায়:-
নিয়মিত আদার জল পান করলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে দারুন কার্যকরী। গবেষণায় দেখা গেছে, আদা দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া, রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রা খাবার ইচ্ছে আরও বাড়িয়ে তোলে। ফলে দ্রুত ওজন বাড়তে থাকে।
৫)চুল ও ত্বকের জন্য ভালো:-
আদা জল ত্বকের নানা সমস্যা দূর করে। ত্বক উজ্জ্বল করে এবং টানটান রাখে আদা। ত্বকে রিঙ্কেলস পড়তে দেয় না। আদার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ত্বককে সমস্ত ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
৬)হজম শক্তি বাড়ায়:-
নিয়মিত একবার করে আদা জল পান করলে পাচনতন্ত্র ভালো থাকে। এবং বদহজম, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অ্যাসিডটি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। হজম ক্ষমতা আরও উন্নত হয়।