• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘গুজরাট ফাইলস’ নামে একটি ছবি তৈরী হোক , দাবি শিবসেনার 

দিল্লি, ৯ মে – গুজরাটের নিখোঁজ মহিলাদের কথা ভেবে এবার পরিচালকরা ‘গুজরাট ফাইলস’ নামে একটি ছবি তৈরী করুন – এমনই দাবি তুলল শিবসেনার পত্রিকা ‘সামানা ‘। এই পত্রিকার সাম্প্রতিক কপি যেটি প্রকাশিত হয়েছে তার সম্পাদকীয় কলমে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো নিখোঁজ মহিলাদের যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, তা নিয়ে বিজেপির বক্তব্য কি। বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘কাশ্মীর ফাইলস’ কিংবা

দিল্লি, ৯ মে – গুজরাটের নিখোঁজ মহিলাদের কথা ভেবে এবার পরিচালকরা ‘গুজরাট ফাইলস’ নামে একটি ছবি তৈরী করুন – এমনই দাবি তুলল শিবসেনার পত্রিকা ‘সামানা ‘। এই পত্রিকার সাম্প্রতিক কপি যেটি প্রকাশিত হয়েছে তার সম্পাদকীয় কলমে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো নিখোঁজ মহিলাদের যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, তা নিয়ে বিজেপির বক্তব্য কি। বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘কাশ্মীর ফাইলস’ কিংবা সুদীপ্ত সেনের ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবির মতো গুজরাট নিয়েও তাদের ভাবা উচিত বলে মতামত জানানো হয় পত্রিকায়।  তারা লিখেছে, এই পরিচালকরা তো ‘গুজরাত ফাইলস’ নামেও একটা সিনেমা বানাতে পারেন, গুজরাতের নিখোঁজ মহিলাদের কথা ভেবে।

গুজরাট থেকে নিখোঁজ হওয়া ৪০ হাজার মেয়ে কোথায় গেল,  এই প্রশ্নে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বেঁধে মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার মুখপত্র, সামানা । 

ওই কলমে লেখা হয়েছে, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যে গুজরাটের মহিলারা মানবপাচারের জালে জড়িয়ে গেছেন। কিন্তু মোদি ভক্তদের তা চোখে পড়ে না, তাঁরা শুধু গুজরাট মডেলের সফলতার গুণগানে ব্যস্ত ।’ প্রসঙ্গত, এনসিআরবি-র তথ্য  অনুযায়ী , গত পাঁচ বছরে গুজরাটে ৪০ হাজারের বেশি মহিলা নিখোঁজ হয়েছেন।

ওই পত্রিকায় আরও উল্লেখ করা হয়, মহারাষ্ট্রে মহিলাদের নিখোঁজ হওয়ার সংখ্যা বেশ উদ্বেগজনক। তথ্যমাফিক , প্রতিদিন সে রাজ্যে ৭০ জন করে মহিলা নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জমা পড়ে। গত তিন মাসে এই সংখ্যাটা ৫ হাজার।  ওই কলমে প্রশ্ন তোলা হয়, ‘শিন্ডে-ফড়ণবীশের সরকার এই নিয়ে কী করছে? এই দুই রাজ্যের সরকার বজরংবলি, হনুমান চলিশা ও নানা ধর্মীয় ব্যাপার নিয়ে যতটা উৎসাহী, এই দুই রাজ্যের গরিব এবং প্রান্তিক মহিলাদের নিরাপত্তার ইস্যু নিয়ে মোটেই উৎসাহী নয় ।’

এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সরাসরি আক্রমণ করে ওই পত্রিকা বলেছে, মোদীর ‘মন কি বাত’ মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে। এতে মনে হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং গান্ধি পরিবারই গুজরাতের নারীপাচারের জন্য দায়ী। ‘গুজরাতে যদি আইনের শাসন বলে কিছু থাকে, তবেই ওই নিখোঁজ মহিলারা এবং তাঁদের পরিবার বিচার পাবে। 

সাম্প্রতিককালে কুস্তিগীরদের অবস্থান বিক্ষোভ নিয়েও দু’কলম লেখা হয়েছে এই পত্রিকায়। দাবি করা হয়েছে রেসলিং ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ সিংয়ের গ্রেফতারি। লেখা হয়েছে, ‘মহিলা কুস্তিগীররা পর্যনেত দিল্লিতে ধর্নায় বসেছেন, কিন্তু দিল্লির মন্ত্রীদের কানে কোন কথাই  পৌঁছচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী, বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও কথা বলার সময় না।