অজিত সহ ৯ জনের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন এনসিপির, সুপ্রিয়া বললেন, পরিবারে অশান্তি নেই

মুম্বই, ৩ জুলাই-– রবিবাসরীয় দুপুরে মহানাটকীয় পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। একনাথ শিণ্ডে-বিজেপি সরকারের যোগ দিয়ে রাতারাতি উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার। তাঁর সঙ্গে শপথ নিয়েছেন এনসিপির আরও ৮ বিধায়ক।

রবিবার রাতেই তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানাল এনসিপি। দলের রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাটিল মহারাষ্ট্রের স্পিকার রাহুল নারলেকরের কাছে এই আবেদন জানিয়েছেন। রবিবার সরকারে যোগ দিয়ে অজিত পাওয়ার দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে দলের ৪০ জন বিধায়ক রয়েছে। এনসিপির বিধায়ক সংখ্যা হল ৫৪। তার মধ্যে দুই-তৃতীংশ অর্থাৎ ৩৬ জন বিধায়ক ভাঙাতে পারলেই আর দলত্যাগ বিরোধী আইনে পড়বেন না অজিত পাওয়ার-প্রফুল্ল প্যাটেল। সেদিক থেকে অজিত পাওয়ারের দাবি তাঁর কাছে অতিরিক্ত আরও চার জনের সমর্থন রয়েছে।

কিন্তু সোমবার জয়ন্ত পাটিল দাবি করেছেন, এসব ঝুটো কথা বলছেন অজিত পাওয়ার। ওঁর কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। সব জেলা থেকে দলের নেতারা তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। তাঁরা অজিতের বিশ্বাসঘাতকতায় ক্ষুব্ধ। ৯ জন বিধায়ক নিয়ে এনসিপি দলের কর্তৃত্ব কেউ দাবি করতে পারে না।


তবে দল ভাঙা নিয়ে একটা সন্দেহ খোদ শরদ পাওয়ারের উপরেই পড়ছে। কংগ্রেসের বহু প্রবীণ ও বর্ষীয়াণ নেতা পাওয়ারকে বিশ্বাস করেন না। অনেকে মনে করছেন, এটা শরদ পাওয়ারেরই খেলা। তিনিই তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ারকে বিজেপির দরজায় পাঠিয়েছেন। এরই মধ্যে পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে আবার বলেছেন, ভাই অজিতের সঙ্গে আমার কোনও ঝগড়া নেই। পরিবারের মধ্যে কোনও অশান্তিও নেই।

তাৎপর্যপূর্ণ হল, যে এনসিপি নেতারা বিজেপি-শিন্ডে সরকারে যোগ দিয়েছেন তাঁরা সকলেই পাওয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। যেমন, প্রফুল্ল প্যাটেল, ছগন