কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফাঁদে সর্বস্ব খুইছে ৮৩% ভারতীয়

দিল্লি, ২ মে– কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিরাপত্তা দিয়ে ঠেকিয়ে রেখেও লাভ হয়নি। বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নামক সাড়া ফেলে দেওয়া আধুনিক প্রযুক্তিকেই প্রতারণার নয়া জাল হিসেবে ব্যবহার করছে হ্যাকাররা। আর সেই জালেই পা দিয়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন ৮৩ শতাংশ ভারতীয়। ফাঁদে পা দিয়ে কেউ ৫০ হাজার খোয়াচ্ছেন, তো কেউ তাঁর সঞ্চয়ের ৫০ লাখ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে যে লোক ঠকানোর কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে, তা ধরতে পেরেছে ম্যাকাফে কম্পিউটার সিকিউরিটি কোম্পানি। ম্যাকাফের সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তত সাতটি দেশের সাত হাজারের বেশি মানুষকে জিজ্ঞেস করে, তাঁদের মতামত নিয়ে জানা গেছে তাঁরাও নানাভাবে প্রতারিত হয়েছে। যন্ত্র নির্ভর ভয়েস কল বুঝতে না পেরে প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন।ম্যাকাফের সমীক্ষা বলছেন, ৮৩ শতাংশ ভারতীয়ও এআই ভয়েস কলে প্রতারিত হয়েছে কোনও না কোনও সময়। ম্যাকাফে চিফ টেকনোলজি অফিসার স্টিভ গ্রবম্যান বলছেন, প্রতারকরা দুই দলকে টার্গেট করছে, এক, যারা মোবাইল স্ক্যাম নিয়ে অবগত নয়, দুই, যারা বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ। নানা ছুঁতোয় প্রলোভন দেখিয়ে এআই ভয়েস কলে ফোন আসছে। সেই গলা শুনে বোঝাই যাবে না মানুষের নাকি যন্ত্রের। নাম, পরিচয় এতটাই নিখুঁত দেওয়া হচ্ছে যে সন্দেহ হবেই না। ফলে সহজেই প্রতারিত হচ্ছেন লোকজন।

সাইবার নিরাপত্তা বিভাগ জানাচ্ছে, এআই-কে যেমন সাইবার অপরাধ ঠেকানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তেমনই এর খারাপ প্রয়োগও হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে লোক ঠকানোর হাতিয়ার করে নিয়েছে প্রতারকরা। এক্ষেত্রে প্রত্যেক মোবাইলে নির্দিষ্ট কোড ব্যবহার করে স্প্যাম কল আটকানো যাবে বলে মনে করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। কীভাবে এই প্রতারকদের ঠেকানো যাবে সেই চেষ্টাই চলছে।