ইম্ফল, ৭ আগস্ট – মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটানোর ঘটনায় পাঁচ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হল। মণিপুরের যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটে সেখানকার স্টেশন-ইনচার্জ-সহ পাঁচজন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে মণিপুর পুলিশ । পুলিশের তরফে একথা জানানো হয়েছে । এদিকে আবারও হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়েছে মণিপুরে। ইম্ফলের পশ্চিম জেলায় ১৫টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে রবিবার আধিকারিকসূত্রে জানা গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে ল্যাঙ্গোল গেমস গ্রামে। সেখানে উত্তেজিত জনতা তাণ্ডব চালায় বলে জানা যায়।
১৯ জুলাই মহিলাদের ওপর অকথ্য অত্যাচারের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই মণিপুর পুলিশ থৌবাল জেলার নংপোক সেকমাই থানার স্টেশন ইনচার্জ এবং চারজন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করা হয়। যদিও তাঁদের সাসপেনশন তুলে নেওয়ার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের একাংশ ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখালেও সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয়নি।
পাশাপাশি মণিপুর পুলিশ বিষ্ণুপুরে গত ৩ আগস্ট একটি অস্ত্রাগার লুঠের ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিসের আইজি-র অধীনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দিয়েছে বলেও আধইকারিকরা জানান। পিটিআই-এ আধিকারিকরা বলেন, মণিপুর পুলিশ রাজ্যে হিংলা বন্ধ করতে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে শনিবার ভোর থেকেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুরের বিষ্ণুপুর-চুড়াচাঁদপুর সীমানা এলাকা। গত ২৪ ঘণ্টায় মণিপুরে হিংসার বলি ৬ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক বাবা এবং ছেলে। সংঘর্ষের জেরে আহত হয়েছেন ১৬ জন। গুলিবিদ্ধ ১ জন। তবে তিনি এখন বিপদমুক্ত বলে রাজানা গেছে। এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। সূত্রের খবর, ওই এলাকায় অতিরিক্ত ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। যদিও রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক গোটা বিষয়ে আঙুল তুলেছেন আধাসেনার দিকেই।
গত ৩ মে থেকে কুকি এবং মেইতেই জনজাতির সংঘর্ষের কারণে উত্তপ্ত মণিপুর। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পুলিশসূত্রে খবর, পূর্ব এবং পশ্চিম ইম্ফল জেলায় এখনও জারি থাকবে কারফিউ।
ইম্ফলের পূর্বে চেকন এলাকা থেকেও হিংসার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সেখান কটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংলগ্ন তিনটি বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দমকলকর্মীদের চেষ্টা আগুন আয়ত্তে আসে।
বিভিন্ন মামলায় মণিপুরে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।