• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত লস্কর-ই-তৈবার ৫ জঙ্গি

কুলগাম, ১৭ নভেম্বর – জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় পাক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবার ৫ জঙ্গি নিহত হওয়ার খবর মিলেছে৷ সেনা, সিআরপিএফ এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে শুক্রবার ভোরে পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা ওই এলাকায় আরও জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ তাই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান৷  জম্মু ও কাশ্মীর জোন

কুলগাম, ১৭ নভেম্বর – জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় পাক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবার ৫ জঙ্গি নিহত হওয়ার খবর মিলেছে৷
সেনা, সিআরপিএফ এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে শুক্রবার ভোরে পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা ওই এলাকায় আরও জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ তাই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান৷  জম্মু ও কাশ্মীর জোন পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিদের একটি দল সীমান্ত পার করে কুলগাম জেলার সামনোর ধমহাল হাঞ্জি পোরা এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে বৃহস্পতিবার খবর পায় নিরাপত্তাবাহিনী৷ এরপরই সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং কাশ্মীর পুলিশের আধাসামরিক বাহিনী যৌথভাবে তল্লাশি অভিযানে নামে৷ তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও পালটা জবাব দেওয়া হয়৷ রাত বেশি হওয়ায় গুলির লড়াই থেমেও যায়৷
জঙ্গিরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে, গুলির লড়াই থামার পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে যৌথবাহিনী৷ শুক্রবার সকালে জঙ্গিদের খোঁজে ফের তল্লাশি অভিযান শুরু হয়৷ এই সময় জঙ্গিরা পালানোর চেষ্টা করলে, বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময় হয় তাদের৷ গুলির লড়াইয়ে ৫ লস্কর জঙ্গি নিকেশ হয়েছে বলে জন্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে৷
ভারতীয় সেনার ৩৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, ৯ আধাসামরিক বাহিনী, পুলিশ এবং সিআরপিএফ একযোগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চালাচ্ছে৷ অভিযান এখনও চলছে বলে শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে৷
কুলগাম জেলার সামনোর ধমহাল হাঞ্জি পোরা এলাকা জঙ্গি উপদ্রুত এলাকা বলেই পরিচিত৷ তিন বছর আগে এখানে লস্কর জঙ্গিদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন ৩ জন যুব বিজেপি নেতা৷ তিন নেতাকে খুন করেছিল লস্কর ঘনিষ্ঠ জঙ্গি সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্ট ফ্রন্ট’ ৷
গত সপ্তাহেই উপত্যকার সোপিয়ানে সেনা ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে খতম হয়েছিল এক জঙ্গি৷ গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃতু্য হয় ওই সন্ত্রাসবাদীর৷ উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র৷ অন্যদিকে রামগড় সেক্টরে পাক সেনার গোলাবর্ষণে আহত হয়েছিলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক জওয়ান৷
দুই দিনে পাঁচ লস্কর জঙ্গিকে নিকেশ ঘটনাকে সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর বড়সড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে৷ এর আগে, গত সপ্তাহে সোপিয়ানে সেনা ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানের সময় এক জঙ্গির মৃতু্য হয়েছিল৷ লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের সদস্য ছিল সে৷ নিকেশ হওয়া জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল প্রচুর অস্ত্র৷
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে অনন্তনাগে লস্করের কমান্ডার উজির খানকে নিকেশ করেছিল নিরাপত্তাবাহিনী৷ সেই সঙ্গে আরও ২ লস্কর সদস্যকে খতম করা হয়৷ সেই সময় মৃত লস্কর কমান্ডারের কাছ থেকেও প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল৷
অন্যদিকে, ফের যুদ্ধবিরোধী চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে৷ বিনা প্ররোচনায় রামগড় সেক্টরে গুলিবর্ষণ করে তারা৷ ঘটনায় একজন বিএসএফ জওয়ান জখম হয়েছেন বলে খবর৷