মোদিকেই চাই ৪৩ শতাংশের, দ্বিতীয়তে টক্কর রাহুলের 

দিল্লি, ২৪ মে– কর্নাটকের বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিপর্যয়ের জন্য মোদিকেই দায়ী করছে গেরুয়া শিবিরের বড় অংশ। ক্ষমতাসীন দলের ৩১জন প্রার্থীর জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে সেখানে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ কর্নাটকের ফলকে কংগ্রেসের জয়ের থেকেও বিজেপি-বর্জন হিসাবে বর্ণনা করেছে।

কিন্তু এক সমীক্ষা সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বলছে। তারা বলছে আগামী সময় মোদি ও বিজেপির জন্য খুব ভালো সময় আসছে। বছর শেষে চার বড় রাজ্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড় এবং তেলেঙ্গানায় ভোট। তারপর নতুন বছরের গোড়ায় হবে লোকসভার নির্বাচন। নির্বাচনী সমীক্ষার কাজে দিল্লির নামজাদা একটি প্রতিষ্ঠান কর্নাটকের ভোটের পর দেশব্যাপী সমীক্ষা চালিয়েছে। তাদের রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং গেরুয়া শিবিরের জন্য স্বস্তির হাওয়া বয়ে এনেছে।

সেই সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের চলতি রাজনৈতিক সমীকরণের বদল না ঘটলে ২০২৪-এ ফের বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে। আর সেই ফলাফলের পিছনে প্রধানমন্ত্রী মোদির জনপ্রিয়তার বড় ভূমিকা থাকবে। সমীক্ষায় ৪৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদিকেই তাঁদের প্রথম পছন্দ।


তাৎপর্যপূর্ণ হল, ২৭ শতাংশ উত্তরদাতা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রাহুল গান্ধিকেই প্রথম পছন্দ বলেছেন।

শুধু তাই নয়, মোদীকে টক্কর কে দিতে পারেন, এই প্রশ্নের জবাবে ৩৪ শতাংশের প্রথম পছন্দ রাহুল গান্ধী। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, ভারত জোড়ো যাত্রা রাহুলের দিকে বহু মানুষকে টেনে এনেছে। অনেকেই এখন তাঁকে পরিপক্ক নেতা মনে করছেন।

প্রসঙ্গত বলা দরকার, এই ধরনের সমীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে অনেক সময়ই বাস্তব পরিস্থিতি মেলে না। অল্প সংখ্যক মানুষের মতামতকে রাশি বিজ্ঞানের নানা ফরমুলা দিয়ে বিশ্লেষণ করে সমীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। তবে এই ধরনের সমীক্ষা একেবারে ভিত্তিহীন তা বলা যাবে না। সমীক্ষার ফল থেকে একটা আভাস মেলে।

তাতে দেখা যাচ্ছে মোদীর মোকাবিলায় আঞ্চলিক দলগুলির বহু নেতা নেত্রী কংগ্রেসকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য, কেউ কেউ নিজেকেই সেই ভূমিকায় এক নম্বর বলে দাবি করলেও তাঁরা কেউই পছন্দের নিরিখে ধারেকাছে নেই। বরং বিগত বছরগুলির তুলনায় রাহুল গান্ধীর গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।

বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার কাজে কংগ্রেস এগিয়ে দিয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারকে। সমীক্ষায় এক শতাংশ উত্তরদাতা বিহারের এই নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখার বাসনা ব্যক্ত করেছেন। যদিও নীতীশ বারেবারেই বলেছেন তাঁর উদ্যোগের পিছনে ব্যক্তিগত কোনও স্বার্থ নেই। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিন্দুমাত্র বাসনা তাঁর নেই।

দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে আরও যে মুখ্যমন্ত্রী এবং আঞ্চলিক নেতারা দেশের ভবিষ্য নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন, তাঁদের মোদি বিরোধী অবস্থান নিয়ে উত্তরদাতারা ঘোর সংশয়ী। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এমন দু-চারজন নেতাকে দেখতে আগ্রহী মাত্র তিন-চার শতাংশ উত্তরদাতা। অন্যদিকে, আগের তুলনায় রাহুল অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন পছন্দের মানদণ্ডে। তাঁর ধারেকাছে নেই আঞ্চলিক নেতারা।