• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

ক্ষমতায় এলে তেলেঙ্গানায় ৪২ শতাংশ ওবিসি সংরক্ষণ, প্রতিশ্রুতি রাহুলের 

হায়দরাবাদ, ১৮ নভেম্বর– ভোট বলে কথা৷ মানুষের মন না পেলে রাজনৈতিক দলগুলির গোটাটাই বৃথা৷ তাই রাজনৈতিক চরিত্র বজায় রাখতেই হবে তাতে যত পারো ঢালাও প্রতিশ্রুতি বা আশ্বাসন দিয়ে যাও৷ তাতে যদিও সিংহাসন মেলে তাহলে কেল্লাফতে৷ তারপর না হয় জনগনের করের বোঝা বাড়িয়ে তা থেকে তাদের কিছুটা উপার্যু দেওয়া যাবে৷ আর যদি না জেতে তাহলে তো

হায়দরাবাদ, ১৮ নভেম্বর– ভোট বলে কথা৷ মানুষের মন না পেলে রাজনৈতিক দলগুলির গোটাটাই বৃথা৷ তাই রাজনৈতিক চরিত্র বজায় রাখতেই হবে তাতে যত পারো ঢালাও প্রতিশ্রুতি বা আশ্বাসন দিয়ে যাও৷ তাতে যদিও সিংহাসন মেলে তাহলে কেল্লাফতে৷ তারপর না হয় জনগনের করের বোঝা বাড়িয়ে তা থেকে তাদের কিছুটা উপার্যু দেওয়া যাবে৷ আর যদি না জেতে তাহলে তো ল্যাটা চুকে গেল৷
এ ভোটমুখী প্রচারেও দেখা যাচ্ছে সেরকমই প্রতিশ্রুতির বহর৷ যেমন তেঙ্গেনায় কংগ্রেসের প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধি প্রতিশ্রুতি দিলেন, তাঁর দল ক্ষমতায় ফিরলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের (ওবিসি) জন্য সংরক্ষিত আসন ২৩ শতাংশ থেকে বাডি়য়ে ৪২ শতাংশ করবে৷ আগেই জাতগণনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এ বার ভোটমুখী তেলঙ্গানায় পিনাপাকা, নরসম্পেট এবং ওয়ারঙ্গলের জনসভায় তাঁর প্রতিশ্রুতি, ‘ক্ষমতায় এলে পঞ্চায়েতি রাজ আইনে প্রয়োজনীয় বদল করবে কংগ্রেস৷’
বিহারে জাতভিত্তিক সমীক্ষা এবং তার রিপোর্টের নিরিখে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে অন্য অনগ্রসর সম্প্রদায় (ওবিসি) এবং তফসিলিদের কোটা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পরেই বিষয়টিকে পাঁচ রাজ্যের ভোট প্রচারে গুরুত্ব দিচ্ছেন রাহুল৷ ছত্তীশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের পরে এ বার দক্ষিণের রাজ্য তেলঙ্গানাতেও ‘ওবিসি তাস’ খেললেন তিনি৷ তুলেছেন, ‘জিতনি আবাদি, উতনা হক’ (যে জনগোষ্ঠীর যত সংখ্যা, সংরক্ষণে তার তত অধিকার) স্লোগান৷
তেলঙ্গানার ভোটপ্রচারেও সেই স্লোগান দিয়ে রাহুল বলেন, ‘যদি তফসিলি জাতি-জনজাতি (এসসি-এসটি) এবং ওবিসিদের সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি হয়, তবে তাঁদের প্রতিনিধিত্বও সেই অনুপাতে পাওয়া উচিত৷’ প্রসঙ্গত, বিহারে জাত সমীক্ষার বিরোধীরা আদালতে অভিযোগ করেছিলেন, বিহার সরকারের এই পদক্ষেপ ‘বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক’৷ এই পদক্ষেপ সংবিধানের মৌলিক অধিকার এবং ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের (সমতা ও সাম্যের অধিকার) পরিপন্থী৷ কিন্ত্ত বিহার সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পটনা হাই কোর্টে আবেদন জানানো হলেও স্থগিতাদেশ মেলেনি৷
সেই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন৷ কিন্ত্ত শীর্ষ আদালত স্থগিতাদেশ না দেওয়ায় বিহারের জেডিইউ-আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার গত ৯ নভেম্বর সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে জাতভিত্তিক সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ থেকে বাডি়য়ে ৬৫ শতাংশ করানোর বিল পাশ করিয়েছে৷ নীতীশ কুমারের সরকারের ওই বিলে বিহারে অনগ্রসর (ওবিসি) এবং অতি অনগ্রসরদের (ইবিসি) জন্য সংরক্ষণ ২৭ শতাংশ থেকে বাডি়য়ে ৪৩ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে৷ পাশাপাশি, তফসিলি জাতির (এসসি) সংরক্ষণ ১৬ শতাংশ থেকে বাডি়য়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব রয়েছে৷ তবে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানে তফসিলি জনজাতিভুক্তদের জন্য সাত শতাংশ সংরক্ষণ থাকলেও তা দুই শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখতে চায় বিহার সরকার৷