• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

চার ভাই-বোনের তিন আইএএস, একজন আইপিএস, বেনজির সাফল্য

লখনউ, ৩০ আগস্ট–  প্রতিবছর কঠোর পরিশ্রম করে ইউপিএসসিতে সাফল্য পান ছেলে-মেয়েরা। কিন্তু তাই বলে একই পরিবারের চার ভাইবোনই আইএএস-আইপিএস, ভাবা যায়! কিন্তু এমনটাই সম্ভব করে দেখিয়েছে উত্তরপ্রদেশের মিশ্র পরিবারের চার ছেলেমেয়ে। চার ভাইবোনই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা পাশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন আইএএস, একজন আবার আইপিএস হয়েছেন! প্রিলিমস, মেইন এবং ইন্টারভিউ এই তিনটি পর্যায়ে পরীক্ষায় পাশ করা মোটেও

লখনউ, ৩০ আগস্ট–  প্রতিবছর কঠোর পরিশ্রম করে ইউপিএসসিতে সাফল্য পান ছেলে-মেয়েরা। কিন্তু তাই বলে একই পরিবারের চার ভাইবোনই আইএএস-আইপিএস, ভাবা যায়!

কিন্তু এমনটাই সম্ভব করে দেখিয়েছে উত্তরপ্রদেশের মিশ্র পরিবারের চার ছেলেমেয়ে। চার ভাইবোনই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা পাশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন আইএএস, একজন আবার আইপিএস হয়েছেন! প্রিলিমস, মেইন এবং ইন্টারভিউ এই তিনটি পর্যায়ে পরীক্ষায় পাশ করা মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু মিশ্র পরিবারের চারজন কঠিনটাকেই সহজ করে দেখিয়েছেন। প্রতাপগড়ের অনিল মিশরের চার ছেলেমেয়ে বাবার কষ্ট ও স্বপ্নকে নষ্ট হতে দেননি। অনিলের দুই ছেলে, দুই মেয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, তাঁরাও পারেন। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন চারজনই।

অনিলবাবুর বড় ছেলে যোগেশ মিশ্র। লালগঞ্জ স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন, তারপর মতিলাল নেহরু ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ইঞ্জিনিয়ার হন। কলেজের ক্যাম্পাসিংয়েই চাকরি পেয়ে যান। চাকরিতে যোগ দিলেও সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার স্বপ্ন শেষ হতে দেননি তিনি। চাকরি করতে করতেই প্রস্তুতি নিতে থাকেন ইউপিএসসি-র। ২০১৩ সালে সাফল্য আসে। এখন তিনি এখন আইএএস অফিসার।

অনিলবাবুর সন্তানদের মধ্যে দ্বিতীয়জন মেয়ে। ক্ষমা মিশ্রও দাদার সঙ্গেই ইউপিএসসি-র প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। তবে তিনবার পরীক্ষা দিয়েও সফল হতে পারেননি। হার মানেননি, ফের বসেন পরীক্ষায়। চতুর্থবারে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ক্ষমা। তিনি এখন একজন সফল আইপিএস অফিসার।

সেজো মেয়ে মাধুরী হলেন আইএএস অফিসার। লালগঞ্জ থেকে স্নাতক করার পর এলাহাবাদ থেকে স্নাতকোত্তর করেন। ২০১৪ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করেন। আর ২০১৫ সালে একই পরীক্ষায় পাশ করে আইএএস অফিসার হন তাঁর ভাই ও মিশ্র পরিবারের ছোট ছেলে লোকেশ।