দিল্লি, ২৫ নভেম্বর– সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে তাদের রোজগারের বিরাট একটা অংশ চিকিৎসার ক্ষেত্রেই হয়ে যায়৷ বেশ কিছু ওষুধের দাম এত আকাশ ছোঁয়া যে তা কিনতেই মানুষের পকেট খালি হয়ে যায়৷ সেই বিষয়ে এবার ১০০ শতাংশ স্বস্তি সাধারণ মানুষের৷ সারা দেশে দাম কমল বেশ কিছু জীবনদায়ী ওষুধের৷
এমনটাই সুখবর দিল সরকারি সংস্থার সহযোগিতায় ভারতের ওষুধ সংস্থাগুলি৷ এক বছরে ওষুধ কোম্পানিগুলি চারটি বিরল রোগের ওষুধ তৈরি করেছিল৷ সেই রকম জেনেটিক ও শিশু রোগের ওষুধের দামই কমানো হয়েছে৷ এই ওষুধের নাম কমায় যার ফলে চিকিৎসার খরচ ১০০ গুণ কমিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে৷ এমনই কিছু রোগের নাম টাইরোসিনেমিয়া টাইপ ১৷ যার চিকিৎসায় ব্যবহূত হয় ‘নিটিসিনোন’ নামের ওষুধ৷ এই ওষুধ কিনতে এতদিন বছরে ২.২ কোটি থেকে ৬.৫ কোটি টাকা ব্যয় হত, এখন সেই খরচ একধাক্কায় কমে হবে আড়াই লক্ষ টাকা৷ সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা না হলে শিশুর ১০ বছরের মধ্যে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷
অন্য তিনটি বিরল রোগ হল গাউচার’স রোগ৷ এক্ষেত্রে লিভার বেডে় যায় এবং হাড়ের ব্যথা ও ক্লান্তি অনুভূত হয়৷ উইলসন’স রোগ, যে রোগে লিভারে তামা জমাট বাঁধে এবং মানসিক রোগের লক্ষণ দেখা যায়৷ আর ড্রাভেট/লেনোক্স গ্যাস্টাট সিনড্রোমে রোগীর খিঁচুনির সমস্যা হয়৷ গাউচার রোগের ওষুধ হল এলিগলাস্ট্যাট ক্যাপসুল৷ যার পিছনে বছরে খরচ হত ১.৮-৩.৬ কোটি টাকা৷ আগামী দিনে তা কমে হতে চলেছে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা৷ একইভাবে উইলসন রোগের জন্য ট্রিয়েনটাইন ক্যাপসুল প্রয়োজন৷ প্রতিবছর এই রোগের খরচ ছিল প্রায় ২.২ কোটি টাকা৷ যা কমে হচ্ছে ২.২ লক্ষ টাকা৷ ড্রেভেটের জন্য খরচও কমে হতে চলেছে ১.৫ লক্ষ টাকা৷