ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড গত ২০ জানুয়ারি তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, দেশের নিম্ন আদালতগুলিতে পড়ে রয়েছে প্রায় চার কোটি মামলা। যেগুলির নিষ্পত্তি হয়নি। আবার স্রেফ পরামর্শের অভাবে পড়ে রয়েছে প্রায় ৬৩ লক্ষ মামলা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে পরামর্শের অভাবে পড়ে থাকা মামলাগুলিকে। যা হয়তো একদিনেই মিটে যায় তা করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষকদের অনেকে, রাজ্যে রাজ্যে সংশ্লিষ্ট সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
এ ব্যাপারে সবার উপরে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিডের রিপোর্টে বলা হয়েছে উত্তরপ্রদেশে প্রায় ২৪ লক্ষ মামলা এইভাবে পড়ে রয়েছে। এরমধ্যে ২০.২ লক্ষ ফৌজদারি মামলা অর্থাৎ ক্রিমিনাল কেস। ৪.৫ লক্ষ সিভিল কেস পড়ে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন নিম্ন আদালতে। বিহারে সংখ্যাটা প্রায় ৯ লক্ষ। মহারাষ্ট্রে প্রায় সাড়ে আট লক্ষ। দিল্লিতে ২.৩ লক্ষ ফৌজদারি মামলা পড়ে রয়েছে নিম্ন আদালতে।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিডের রিপোর্টে বকেয়া মামলার শীর্ষে থাকা রাজ্যগুলির তালিকায় নেই বাংলা। গত কয়েক বছর ধরে রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে জোর দিচ্ছেন। গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে মামলা দ্রুত শেষ করার জন্য রাজ্যে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
যদিও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রকের তথ্যে আবার ভিন্ন ছবি ধরা পড়েছে। সেখানে বলা হয়েছে ২০১৭-১৮ সাল থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত সারা দেশে এক কোটি মানুষ দ্রুততার সঙ্গে বিচার পেয়েছেন। যা বিগত দশকে দেখা যায়নি। সেখানে দাবি করা হয়েছে, মামলা নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে বিচার ব্যবস্থার তৎপরতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, বিপুল সংখ্যক মামলা বকেয়া থাকার পিছনে একটা অন্যতম কারণ হল, বিচারকের অভাব। তা ছাড়া পরিকাঠামোগত সমস্যাও রয়েছে। সেইসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, বহু রাজ্যে প্রশাসনিক স্তরে গয়ংগচ্ছ মনোভাবের জন্যও বহু মামলা ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে।