দিল্লির পর বিহার, বুদ্ধগয়ায় ঢুকে পড়ল করোনা, খোঁজ মিলল ৪ আক্রান্তের

পাটনা, ২৬ ডিসেম্বর– চিনের করোনা আতঙ্কে থরহরি কম্প গোটা দুনিয়া। ফের যেকোন সময় চিনা ‘প্রোডাক্টটি’ ঢুকে পড়তে পারে এখানেও। যদিও তাঁকে আটকাতে বদ্ধ পরিকর ভারত। তবুও পা বাড়াচ্ছে করোনা। বর্ষশেষের আনন্দের মাঝেই ক্রমশ ভয়াল আকার ধারণ করছে করোনা। এবার বিহারের বুদ্ধগয়ায় খোঁজ মিলল চার করোনা আক্রান্তের। তাঁরা প্রত্যেকেই ভিনদেশের নাগরিক। তাঁদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়েছে। বিমানবন্দর লাগোয়া একটি হোটেলে আপাতত নিভৃতাবাসে রয়েছেন প্রত্যেকে।

জানা গিয়েছে, ওই চারজনের মধ্যের একজন মায়ানমার, একজন থাইল্যান্ড এবং বাকি দু’জন ইংল্যান্ডের বাসিন্দা। গয়ার স্বাস্থ্যকর্তা ডাঃ রঞ্জন সিং জানান, তাঁদের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে ঠিকই। তবে কারও শারীরিক সমস্যা খুব গুরুতর কিছু নয়। যাতে কোনওভাবেই ভাইরাস সংক্রমিত হতে না পারে, তাই সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর আগে আগ্রার তাজনগরীর বাসিন্দা এক যুবকের শরীরেও করোনা ভাইরাসের হদিশ পাওয়া যায়।

এদিকে, কর্ণাটক, পাঞ্জাবের পর করোনা সংক্রমণ রুখতে সতর্ক হিমাচল প্রদেশ। রাস্তাঘাট কিংবা বাস, ট্রেন ওঠার ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যমূলক বলেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। এবারও বর্ষশেষের প্রাক্কালে বহু পর্যটক ভিড় জমিয়েছেন হিমাচল প্রদেশে। তাই করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় আগাম সতর্কতা জারি করল সরকার।


উল্লেখ্য, ব্রিটেন, রাশিয়া, আর্জেন্টিনায় এখনও দৈনিক সংক্রমণ ১ লক্ষ না ছুঁলেও গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এদিকে চিন থেকেই নতুন সংক্রমণ ছড়ালেও ‘হু’ জানাচ্ছে সেখানে এক সপ্তাহে দেড় লক্ষ আক্রান্ত। অভিযোগ, জিনপিং প্রশাসন নাকি আসল সংখ্যাটা সামনে আসতে দিচ্ছে না। গুঞ্জন, চিনে নাকি কোটি কোটি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেই তুলনায় ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা নগণ্য। গত ৭ দিনে আক্রান্ত মোটে ১ হাজার ৬৯ জন। ফলে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেই জানানো হচ্ছে। তবে সতর্কবার্তা কেন্দ্রের, রাজ্যগুলি যেন নিয়মিত সংক্রমণের দিকটি পর্যবেক্ষণে রাখে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক না হলেও জনবহুল স্থানে পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মেনে চলতে বলা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার।