দিল্লি, ৮ ডিসেম্বর – ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরাজ সাহুর সংস্থা থেকে আয়কর দফতর পর্যন্ত উদ্ধার করল ৩৫০ কোটি টাকা। গত পাঁচদিন ধরে আয়কর হানা চালিয়ে এই বিপুল পরিমান নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ২২৫ কোটি টাকা উদ্ধারের পর শনিবার বলাঙ্গির জেলার সুদাপাড়া এলাকায় এক দেশি মদ প্রস্তুতকারকের বাড়ি থেকে আরো ২০টি নগদ টাকা বোঝাই ব্যাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়। একটি একক অভিযানে কোনও সংস্থার উদ্ধার করা কালো টাকার পরিমাণ এদেশে এটিই সর্বোচ্ছ বলে মনে করা হচ্ছে।
ওড়িশার অন্যতম বৃহত্তম দেশি মদ প্রস্তুতকারক বলদেব সাহু অ্যান্ড গ্রুপ অফ কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ব্যক্তির অফিস এবং বাসংস্থানকে লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই দেশি মদের কোম্পানির সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরাজ সাহুর যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা এই ব্যবসা চালান বলে সূত্রের খবর। বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা সম্বলপুর এবং বলাঙ্গীরের ২টি এসবি শাখায় গণনা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি এমন যে, বাজেয়াপ্ত হওয়া নগদ টাকায় বেশিরভাগই ৫০০ টাকার নোট , নোটের ভারে মেশিন গুলিতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রক্রিয়া সহজ করতে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নগদ টাকা গোনার মেশিনে আনা হয়েছে।
গত শুক্রবার উদ্ধার করা নোটের ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে জনগণের টাকা লুঠ করার অভিযোগ আনেন তিনি। তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছ থেকে লুঠ করা প্রতিটি পয়সা ফিরিয়ে দিতে হবে. এটাই মোদির গ্যারান্টি।’
ওড়িশার বিজেডি সরকার আয়কর অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতারা বলছেন বাজেয়াপ্ত তালা কংগ্রেস নেতাদের, অন্যদিকে কংগ্রেস নেতারা বলছেন এই টাকা বিজেপি নেতাদের। উভয়েই একে অপরকে দোষারোপ করছেন। মনে হচ্ছে বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয় নেতারাই এই ব্যবসায়ীর কাছে টাকা লুকিয়ে রেখেছিলেন।’