• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

বাবরি ধ্বংসের ৩১ বছর, মনে করাল ৬ ডিসেম্বর

দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর– ৬ ডিসেম্বর দিনটি আসলেই স্মৃতির গভীরে এমন এক কালো ছায়া ফুটে ওঠে যা মনে করায় ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধংসের দিনটিকে৷ ৩১ বছর আগে এই দিনই ধ্বংস হয়েছিল অযোধ্যার বাবরি মসজিদ৷ কিন্ত্ত বাবরি মসজিদ নিয়ে বিতর্ক, গন্ডগোল যা-ই বলা হোক না কেন, সবই কিন্ত্ত নয়ের দশকে শুরু হয়নি৷ বিবাদের

বাবরি মসজিদ (Photo: IANS)

দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর– ৬ ডিসেম্বর দিনটি আসলেই স্মৃতির গভীরে এমন এক কালো ছায়া ফুটে ওঠে যা মনে করায় ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধংসের দিনটিকে৷ ৩১ বছর আগে এই দিনই ধ্বংস হয়েছিল অযোধ্যার বাবরি মসজিদ৷ কিন্ত্ত বাবরি মসজিদ নিয়ে বিতর্ক, গন্ডগোল যা-ই বলা হোক না কেন, সবই কিন্ত্ত নয়ের দশকে শুরু হয়নি৷ বিবাদের সূত্রপাত তার বহু আগে৷ সিপাই বিদ্রোহের চারবছর আগে বাবরি মসজিদ নিয়ে প্রথম বিবাদের কথা উল্লেখিত রয়েছে ইতিহাসের পাতায়৷
১৫২৭ খ্রিস্টাব্দে প্রথম মুঘল সম্রাট বাবরের নির্দেশে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় নির্মিত হয় বাবরি মসজিদ৷ তাঁর নামেই এই মসজিদের নামকরণ হয়৷ যদিও হিন্দুদের দাবি ছিল, এটিই রাম জন্মভূমি এবং এখানে ভগবান রামের মন্দিরও ছিল৷ ১৮৫৩ সালে সিপাই বিদ্রোহের চার বছর আগে প্রথম ধর্মীয় বিবাদের সূত্রপাত হয় এই মসজিদকে কেন্দ্র করে৷
ধর্মীয় বিবাদ আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ায় ছ’বছর পর ব্রিটিশ সরকার বিতর্কিত কাঠামোর চারপাশ ঘিরে দেয়৷ ভিতরের অংশে মুসলিম সম্প্রদায় এবং বাইরের অংশে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রবেশাধিকার করে দেওয়া হয়৷ প্রায় নব্বই বছর এইভাবেই ছিল সবকিছু৷
স্বাধীনতার তিন বছর পর ১৯৪৯ সালে স্থাপত্যের ভিতরে অলৌকিকভাবে রাম মূর্তি উদ্ধার হয়৷ মুসলিমরা অভিযোগ তোলে, এই কাজ হিন্দুদের৷ গোটা ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু অত্যন্ত দুঃখপ্রকাশ করেন৷ গোটা বিষয় নিয়ে দুই সম্প্রদায়ই আইনি মামলার পথে যায়৷ স্থাপত্যটিকে বিতর্কিত তকমা দিয়ে চিরতরের জন্য বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার৷
২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাস৷ আরও এক অধ্যায় সংযোজিত হল অযোধ্যার ইতিহাসে৷ এলাহাবাদ হাই কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায় দেয়৷ বিতর্কিত কাঠামোকে তিন ভাগে বিভক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত৷ এক ভাগ পায় উত্তরপ্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এবং বাকি দুই ভাগ দেওয়া হয় নির্মোহী আখাড়া এবং রাম লালা কমিটিকে৷ কাঠামোর কর্তৃত্ব যায় হিন্দুদের দখলে৷ মুসলিমদের হয়ে এক আইনজীবী এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানান৷ ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়৷
পরের বছর মে মাসে এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায়কে খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ এরপর দীর্ঘদিন ধরে মামলা, পালটা মামলার পর ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর চূড়ান্ত রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ জানিয়ে দেওয়া হয়, বিতর্কিত ওই জমির ২.৭৭ একর দেওয়া হবে রাম মন্দির তৈরির জন্য৷ আর ৫ একর জমি পাবে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, যাতে গডে় উঠবে মসজিদ৷ সেই রাম মন্দিরেরই উদ্বোধন আগামী ২২ জানুয়ারি৷