গত বুধবার গ্রিসে ভয়াবহ জাহাজডুবি হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্ধারকারী দলের দাবি, ৭৫০ জন যাত্রী ছিলেন জাহাজে। যদিও রাষ্ট্রসংঘের উদবাস্তু পরিষদ দাবি করে, যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৪০০। মৃত উদবাস্তুরা মিশর, সিরিয়া এবং পাকিস্তানের অধিবাসী বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল। বেশ কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পর পাক সরকারের দাবি, সেদেশের অন্তত ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই জাহাজডুবিতে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত সকলকে আটক করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। মৃতদের উদ্দেশে শোকজ্ঞাপন করতে সোমবার জাতীয় শোকও ঘোষণা করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান অনুযায়ী অন্তত ১০ হাজার মানুষ পাকিস্তান ছেড়ে অন্য দেশে চলে গিয়েছেন।
পাক প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, মৃতদের অধিকাংশই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দা। প্রবল অভাবের তাড়নায় দেশ ছেড়ে রোজগারের সন্ধানে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। বেআইনিভাবে ইউরোপে ঢুকে সেখানে চাকরির খোঁজে যান পাকিস্তানি তরুণরা। এবারেও গ্রিসের জলপথ ঘুরে ইউরোপে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু পথেই জাহাজডুবিতে তাঁদের সলিলসমাধি ঘটে।
তবে পাক প্রশাসনের দাবি, এই ৩০০ তরুণকে চাকরি দিতে নয় পাচার করার জন্যই জাহাজে তোলা হয়েছিল। তাদের মধ্যে মাত্র ১২ জন বেঁচে রয়েছেন। তাঁদের কথার সূত্র ধরেই রবিবার আটক করা হয়েছে ১০ জন পাচারকারীকে। তাদের মধ্যে ৯ জনই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দা।