• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ট্রাঙ্কের ভিতর দুমড়ে মুচড়ে ঠাসা ৩ মেয়ের দেহ

জলন্ধর, ২ অক্টোবর– সারাদিন বাইরে কাজ করে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন বাবা-মা। কিন্তু ৫ সন্তানের মধ্যে ৩ মেয়েকে দেখিয়ে পাননি কোথাও। হাজার খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি। তারপর জিনিসপত্র সরানোর জন্য একটি ট্রাঙ্কের ঢাকনা খুলতেই চমকে ওঠেন বাবা। দেখলেন, টিনের সেই ট্রাঙ্কের ভিতর দুমড়ে মুচড়ে ঢোকানো রয়েছে তাঁর ৪, ৭ এবং ৯ বছর বয়সি ৩ মেয়ের মৃতদেহ! ভয়ঙ্কর

জলন্ধর, ২ অক্টোবর– সারাদিন বাইরে কাজ করে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন বাবা-মা। কিন্তু ৫ সন্তানের মধ্যে ৩ মেয়েকে দেখিয়ে পাননি কোথাও। হাজার খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি। তারপর জিনিসপত্র সরানোর জন্য একটি ট্রাঙ্কের ঢাকনা খুলতেই চমকে ওঠেন বাবা। দেখলেন, টিনের সেই ট্রাঙ্কের ভিতর দুমড়ে মুচড়ে ঢোকানো রয়েছে তাঁর ৪, ৭ এবং ৯ বছর বয়সি ৩ মেয়ের মৃতদেহ!

ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলার কানপুরে। জানা গেছে, রবিবার বিকেল থেকেই নিখোঁজ ছিল শিশুগুলি। তাদের আরও ২ ভাই বোন রয়েছে। শিশুগুলির বাবা-মা পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। রবিবার তাঁরা কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পর ৩ মেয়েকে খুঁজে পাননি। তারপর রাতভর বিস্তর খোঁজাখুঁজি করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

সোমবার সকালে তাদের বাবা ঘরের জিনিসপত্র সরাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি টিনের ট্রাঙ্ক খুলতেই আঁতকে ওঠেন তিনি। দেখা যায়, কাঞ্চন, শক্তি এবং অমৃতা নামে ৭ এবং ৯ বছর বয়সি ৩ মেয়ের মৃতদেহ দুমড়ে মুচড়ে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে তাতে।

প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সেই রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

মৃত শিশুগুলির বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা একটি ভাড়াবাড়িতে থাকেন। কিন্তু যেহেতু তাঁর মদ্যপানের অভ্যাস আছে, তাই সেই বাড়ির মালিক গত কয়েকদিন ধরেই তাঁদের বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এমনকী, কথা না শুনলে পরিণতি খুব ভয়ানক হতে চলেছে বলে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।