ব্রাহ্মস মিসাইলের ভুল নিক্ষেপে ক্ষতি হয়েছে ২৪ কোটির
কেন্দ্রের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল চেতন শর্মা আদালতে বলেন, “কর্তব্যের এহেন গাফিলতির জেরে পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার মতো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। বায়ুসেনা কখনই এই ধরনের ঘটনাকে এড়িয়ে যেতে পারে না।” গত বছরের ওই ঘটনায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে ভারতের মুখ পুড়েছিল, তা আদালতে জানান অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল।
অন্যদিকে মামলাকারী বরখাস্ত হওয়া বায়ুসেনা অফিসারদের পালটা যুক্তি, ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চলার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁরা শুধু মাত্র এই ক্ষেপণাস্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
২০২২-র ৯ মার্চ পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের খানেওয়াল জেলার মিয়ান চানুতে আছড়ে পড়ে ব্রহ্মস মিসাইল। ভুল বশত ওই মিসাইল ছোড়া হয়েছিল বলে জানায় নয়াদিল্লি। ঘটনার পর ভারতের কড়া সমালোচনা করে ইসলামাবাদ।
মার্চে এই ঘটনা ঘটার পরই ভারতের তরফ থেকে দুঃখপ্রকাশ করা হয়। এর পিছনে প্রযুক্তিগত গোলমালের কথা সেই সময় বলা হয়েছিল। পাশাপাশি শুরু হয়েছিল তদন্তও। পাকিস্তানের দাবি ছিল, ক্ষেপণাস্ত্রটি তাদের আকাশসীমার ১০০ কিলোমিটার ভিতরে শব্দের চেয়ে তিন গুণ গতিতে আছড়ে পড়ে। ক্ষেপণাস্ত্রে বিস্ফোরক না থাকায় বিস্ফোরণ হয়নি।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানে ভারতের প্রতিনিধিকে ইসলামাবাদ ডেকে পাঠায়। তাঁর কাছে প্ররোচনাহীন ভাবে ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনায় তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পাকিস্তান এ ব্যাপারে তদন্তও শুরু করে। সেই তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, সেই সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি কোনও যাত্রিবাহী বিমানে আঘাত করতে পারত। প্রাণ যেতে পারত সাধারণ মানুষেরও। ওই ঘটনার পরেই তিন ভারতীয় বায়ুসেনা অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।