শনিবার দিল্লির ভারত মণ্ডপমে শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতো ‘হাই প্রোফাইল নেতারা যারা ভীষণ ইম্পর্টেন্ট টার্গেট’। সবমিলিয়ে, রাজধানীতে রয়েছেন ২৯টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষকর্তা, আমন্ত্রিত অতিথি দেশ এবং ১৪টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের। অতিথিদের থাকার জন্য দিল্লি রাজধানী এলাকার ৩০টিরও বেশি হোটেল নির্দিষ্ট করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে, সকল অতিথিদের মধ্যে বিশেষভাবে নজর থাকবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দিকে। বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী দেশের প্রেসিডেন্ট থাকবেন আইটিসি মৌর্য শেরাটন হোটেলে। আর সেগুলির নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে ‘হিট স্কোয়াড’।
হিট স্কোয়াড বা ‘হাউস ইন্টারভেনশন টিমস’ হচ্ছে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কমান্ডো বাহিনী। এই বাহিনী হোটেল বা সরকারি ভবনের মতো সার্বজনিক স্থানে সন্ত্রাসবাদী হামলা রুখতে কিংবা পণবন্দিদের মুক্ত (হোস্টেজ নেগোসিয়েশন) করার মতো কাজে এরা সিদ্ধহস্ত।২০০৮ সালে বাণিজ্যনগরীর তাজ, ওবেরয়, ট্রাইডেন্ট হোটেল ও নরিমান হাউসে হামলা চালিয়েছিল আজমল কাসভরা। এহেন জেহাদি হামলা রুখতে দেশের নিরাপত্তা পরিকাঠামো যে প্রস্তুত ছিল না তা স্পষ্ট হয়ে যায়। তারপরই ঢেলে সাজানো হয় রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার পর তৈরি করা হয় এই বাহিনী। ন্যাশনাল সিকিউরটি গার্ড (এনএসজি) ও দিল্লি পুলিশের কমান্ডোদের নিয়ে তৈরি হয় ‘হিট স্কোয়াড’।
পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেলগুলির আশপাশে আগে থেকেই মজুত রয়েছে ‘স্পেশ্যাল ওয়েপনস অ্যান্ড ট্যাকটিক্স’ টিম। তবে হিট স্কোয়াড স্বাধীনভাবে কাজ করবে। ওই কমান্ডোদের কাছে রয়েছে অত্যাধুনিক হাতিয়ার। এই অস্ত্রগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে–ইজরায়েলে তৈরি টাভর টিএআর-২১ অ্যাসল্ট রাইফেল, মার্কিন গ্লক পিস্টল, রাশিয়ান ড্রাগুনভ স্নাইপার রাইফেল।