কর্ণাটবাসীদের মন পেতে গৃহলক্ষ্মী যোজনার ২ হাজার টাকা মা চামুণ্ডেশ্বরীর নামেও

তিরুবন্তপুরম, ১৮ নম্বের– ভোট আসতেই বিভিন্ন দল নেমে পড়ে জনগনের মনের হদিশ খুঁজতে৷ বিশেষ করে মহিলাদের সন্তুষ্ট করতে শুরু হয়ে যায় নানান প্রকল্পের বন্যা৷ তবে এক্ষেত্রে বাংলা অনেক এগিয়ে৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের৷ তিনি সেই কথা মতো বাংলায় বাস্তবায়িত করেন ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর মতো প্রকল্প৷ সঙ্গে ছিল আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা৷ সেই সময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দলগুলি৷ কিন্তু পরবর্তীকালে ভোট ব্যাঙ্ক পেতে মরিয়া বিজেপি সহ কংগ্রেস বহু রাজ্যে  বাংলার দেখাদেখি শুরু করে সেই সব প্রকল্প৷ পার্থক্য ছিল শুধু নামে৷
এবার বাংলার প্রকল্প চুরির তালিকায় নাম জুড়ল কর্ণাটকের৷ কর্ণর্‌াটকের কংগ্রেস সরকার গৃহলক্ষ্মী যোজনা চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসে এ বছর মে মাসে৷ জুনেই চালু হয়ে গিয়েছে তাদের প্রকল্প৷ এখান পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল৷ কিন্তু সেই গৃহলক্ষ্মী তালিকায় রাজ্যের মহিলাদের সঙ্গে এমন এক জনের নাম যুক্ত যা শুনে চমকে উঠেছেন কর্ণাটকের কংগ্রেসের নেতারাও৷ তিনি কর্ণাটকের ঘরে ঘরে পূজিত মহীশূরের বিখ্যাত দেবী চামুণ্ডেশ্বরী৷
বিধান পরিষদের কংগ্রেস সদস্য দীনেশ গুলিগৌড়া মহীশূরের বাসিন্দা৷ তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার তাঁর দাবি মেনে এই ব্যাপারে সরকারি পদক্ষেপ করেছে৷ প্রতিমাসে গৃহলক্ষ্মী যোজনার টাকা মন্দিরের তহবিলে জমা হয়ে যাবে৷
কংগ্রেস সরকারের দ্রুত এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ, বাংলায় দেবী দুর্গার মতো কর্নাটকে নারী শক্তির প্রতীক হিসাবে চামুণ্ডেশ্বরীকে মানে মানুষ৷ কর্ণাটক সরকার তাদের গৃহলক্ষ্মী যোজনাকে নারীর ক্ষমতায়নের যোজনা হিসাবে তুলে ধরছে৷
সরকারি সূত্রের খবর, এই ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নেন কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার৷ দীনেশ গুলিগৌড়ার আবেদনপত্রটি তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন৷ সেই মতো সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে৷ চামুণ্ডেশ্বরী কর্ণাটকে সবচেয়ে বেশি পূজিত দেবী৷ প্রখ্যাত মহিশূর প্যালেস থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে চামুণ্ডি পাহাডে়র চূড়ায় রয়েছে চামুণ্ডেশ্বরী মন্দির৷ মহিশূরের মহারাজা মন্দিরটি নির্মাণ করেন৷ বলা হয়, এই পাহাডে়র চূড়াতেই মহিষাসুরকে বধ করেন দেবী দূর্গা তথা মা চামুণ্ডেশ্বরী৷ প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই মন্দির পরিদর্শন আর মা চামুণ্ডেশ্বরীকে পুজো দিতে পাহাড় চূড়ায় যান৷ দৈনিক কয়েক লাখ টাকা রোজগার হয় মন্দির কর্তৃপক্ষের৷ আগামী মাস থেকে তাতে যুক্ত হবে রাজ্য সরকারের দু হাজার টাকা ভাতা৷