• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দেশে ‘হংকং ফ্লু’ – এ আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু  

দিল্লি, ১০ মার্চ –  এইচ ৩ এন ২ ভাইরাস দেশের দুই রাজ্যে ২ জনের প্রাণ নিল। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা যায় মৃত ব্যক্তিদের ১ জন হরিয়ানার বাসিন্দা, অপর জন কর্নাটকের। এখনও পর্যন্ত ভারতে এই ভাইরাস ঘটিত রোগ, যার নামকরণ  হয়েছে হংকং ফ্লু,   আক্রান্তের সংখ্যা  ৯০। এ ছাড়াও এইচ ১এন১ ভাইরাসে ৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে

দিল্লি, ১০ মার্চ –  এইচ ৩ এন ২ ভাইরাস দেশের দুই রাজ্যে ২ জনের প্রাণ নিল। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা যায় মৃত ব্যক্তিদের ১ জন হরিয়ানার বাসিন্দা, অপর জন কর্নাটকের। এখনও পর্যন্ত ভারতে এই ভাইরাস ঘটিত রোগ, যার নামকরণ  হয়েছে হংকং ফ্লু,   আক্রান্তের সংখ্যা  ৯০। এ ছাড়াও এইচ ১এন১ ভাইরাসে ৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। গত কয়েক মাস ধরে দেশে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই এইচ ৩ এন ২ ভাইরাসে আক্রান্ত হন বলে দাবি করা হয়েছে।

ভারতে ক্রমেই থাবা বসাতে শুরু করছে এইচ ৩ এন ২ ভাইরাস ঘটিত ইনফ্লুয়েঞ্জা ‘হংকং ফ্লু’। এই প্রথম এই রোগে মৃত্যুর সাক্ষী হল দেশ। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, হরিয়ানায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কর্নাটকেও। প্রাণ হারিয়েছেন এক ৮২ বছর বয়সের বৃদ্ধ। হাসান জেলার বাসিন্দা হিরে গৌড়াকে ২৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্তারা। তবে, ওই ব্যক্তির ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো অসুস্থতা ছিল। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে এইচ ৩ এন ২ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০। পাশাপাশি ৮ টি ক্ষেত্রে সন্ধান মিলেছে এইচ ১ এন ১  ভাইরাস সংক্রমণের। অতীতে ভারতে এইচ ৩ এন ২ ভাইরাসের প্রভাবে বেশ কয়েকটি ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারি ঘটেছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই দুই ভাইরাসের উপসর্গই  অনেকটা কোভিডের মতো। কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা ছাড়াও গলা, সারা শরীরে  ব্যথা, ডায়েরিয়ার মতোও উপসর্গ দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেন্টার ফর ডিজ়িজ কন্ট্রোল এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এইচ ৩ এন ২ ভাইরাস ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা এ’ ভাইরাসের উপরূপ। এই ভাইরাস খুবই  ছোঁয়াচে। হাঁচি, কাশি এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খি বেশি।   ফলে কোভিডের সময় যেভাবে সতর্ক হন মানুষ, সেভাবেই পদক্ষেপ করতে পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা ।