দূষণ এখানে এমন পর্যায় যে ২০ লাখ মানুষ হাসপাতালে 

ব্যাংককে সব মিলিয়ে প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষের বসবাস। পাশাপাশি, সারা পৃথিবীর ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এই শতকের অন্যতম প্রিয় ‘হলিডে ডেস্টিনেশন’ হয়ে উঠেছে তাইল্যান্ডের রাজধানী। সেই শহরই এবার বায়ুদূষণের কবলে। গোটা শহর ঢেকে গেছে ধোঁয়াশায়।

এবছরের শুরু থেকেই ১৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। ক্রমে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ লক্ষে। ব্যাঙ্ককের হাসপাতালগুলি ভরে উঠেছে গত এক সপ্তাহের মধ্যেই।

ক্রিয়াংক্রাই নামথাইসং নামে তাইল্যান্ডের এক চিকিৎসকের মতে, এই সময়ে গর্ভবতী মায়েদের এবং শিশুদের বাড়ির ভিতরে থাকাই নিরাপদ। পাশাপাশি, রাস্তায় বেরোলে দূষণ রোধকারী এন ৯৫ মাস্ক পরার নিদান দিয়েছেন সেই চিকিৎসক।


জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে ব্যাংককের সাধারণ মানুষকে বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন ব্যাংকক শহর কর্তৃপক্ষ। বায়ুদূষণ-কে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে ব্যাংককে। ২০২২ এ নির্বাচিত গভর্নর চ্যাডচার্ট সিট্টিপান্ট  গত নির্বাচনে শহরের দূষণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় আসেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র।

তবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ব্যাংকক সরকার। ইতিমধ্যেই শিশুদের জন্য ঘরে বাতাস বিশুদ্ধকারক লাগানো, প্রতিটি চেকপয়েন্টে গাড়ির দূষণমাত্রা মাপা এই পদক্ষেপগুলি নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, হু-র গাইডলাইন মেনেও একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে ব্যাংকক সরকার।