শ্রীনগর, ১০ অক্টোবর – কাশ্মীরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে দুই লস্কর জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ানে জঙ্গি অভিযানে এটি বড় সাফল্য বলে মনে করছে নিরাপত্তা বাহিনী। কাশ্মীর জোন পুলিশ টুইট করে এই সংঘর্ষের খবর নিশ্চিত করে। মৃত ২ জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবার সদস্য এবং কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যার সঙ্গে যুক্ত বলে পুলিশ সূত্রে খবর । তবে এই গুলির লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত সেনা বা পুলিশকর্মীর হতাহতের কোন খবর মেলেনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরে জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানের আলশিপোরা এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে ছিল বলে দাবি পুলিশের। খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোররাতে সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে অভিযানে নামে। ভোর থেকে গুলি, পাল্টা গুলির লড়াই চলে। দু-পক্ষের গুলির লড়াই চলার সময়ই ২ জঙ্গির মৃত্যু হয়। কাশ্মীর জোন পুলিশ এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে যে দুই জঙ্গি নিহত হয় তাঁদের নাম মোরিফৎ মকবুল এবং জাজিম ফারুক ওরফে আবরার। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে আরও জঙ্গি আলশিপোরা এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় কাশ্মীরি পণ্ডিত সঞ্জয় শর্মার। পেশায় ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষী সঞ্জয় শর্মাকে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার আচান এলাকায় বাজারের মধ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেও বাঁচানো যায়নি। তাঁর শেষকৃত্যে জেলা পুলিশ আধিকারিক-সহ শতাধিক মানুষ সামিল হন। এই ঘটনার দু-দিন পরই পুলওয়ামার পাদদামপোরা গ্রামে জঙ্গি অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম হয় সঞ্জয় শর্মা খুনে জড়িত আরেক জঙ্গি, আকিব মুস্তাক ভাট।
কাশ্মীর জোন পুলিশ টুইটারে জানিয়েছে, মৃত ২ জঙ্গি মোরিফত মকবুল ও জাজমিন ফারুখ দুজনেই লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। কাশ্মীরি পণ্ডিত সঞ্জয় শর্মাকে হত্যার ঘটনায় এই দুই জঙ্গি জড়িত ছিল। সোপিয়ানে জঙ্গির খোঁজে অভিযান এখনও চলছে।