এমনিতেই ‘রেডি টু ইট রুটি’র উপর ৫ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয় গুজরাটে। পরোটা তৈরির সংস্থাগুলি দাবি করছিল, রুটির মতো পরোটার উপরও ৫ শতাংশ জিএসটি লাগু হওয়া উচিত। কিন্তু জিএসটি কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট বলছে, বাড়িতে রেডি টু ইট পরোটা বা প্যাকেটজাত পরোটা কিনে নিয়ে যাওয়াটা বিলাসিতার মধ্যেই পড়ে। তাই এতে ১৮ শতাংশই জিএসটি দিতে হবে।
গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিরোধীরা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্য, বিজেপি সরকার যে হারে জিএসটি বসাচ্ছে, সেই হারে ইংরেজরাও খাদ্যবস্তুর উপর কর বসাত না। কেজরিওয়ালের অভিযোগ, আজকের দিনে মুদ্রাস্ফীতির যা পরিস্থিতি তার পুরোটাই সরকারের ভুল নীতি এবং বাড়তি জিএসটি বসানোর জন্য। বস্তুত গুজরাটের এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক সাধারণ মানুষই সমস্যায় পড়বেন। যা দেখে সরব হয়েছে কংগ্রেসও।
২০১৭ সালে কেন্দ্র সরকার জিএসটি চালু করেছিল দেশজুড়ে একক করকাঠামো তৈরি করতে। এর জেরে জিনিসের দাম কমবে বলেই দাবি করেছিল মোদি সরকার। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, তার উলটোটা। উত্তরোত্তর বেড়েছে জিনিসের দাম।