হিজাব নিষেধাজ্ঞায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ল ১৬ শতাংশ ছাত্রী

বেঙ্গালুরু, ১৬ সেপ্টেম্বর — কলেজে নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পড়ার নির্দেশে তরজা তুঙ্গে। কর্নাটকে শুরু হওয়া হিজাব বিতর্ক এখন প্রায় দেশ জুড়ে। 

কর্নাটক সরকার সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা  জারি করেছে। সরকারি নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হওয়া মামলা হাইকোর্ট হয়ে এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। সুপ্রিম কোর্টে প্রতি সপ্তাহে এই সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি হচ্ছে।

কিন্তু ইতিমধ্যেই মেঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় ও তার অধীনস্ত কলেজ থেকে প্রায় ১৬ শতাংশ মুসলিম ছাত্রী ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে শিক্ষাঙ্গন ছেড়ে গিয়েছে। তাদের বক্তব্য, তারা হিজাব পরার অনুমতি আছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার চেষ্টা করবে।


মেঙ্গালোর ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক পি এস ইয়াদপাদিথায়ার এই বছরের মে মাসে ঘোষণা করেছিলেন, হিজাব ছাড়া ক্লাসে যোগ দিতে আগ্রহী নয় এমন পড়ুয়ারা ট্রান্সফার সার্টিফিকেট চাইলে ইস্যু করা হবে। তিনি সম্প্রতি জানিয়েছেন, টিসি নিয়েছেন ১৬ শতাংশ মুসলিম ছাত্রী। এছাড়া কিছু ছাত্রও আছে, যারা হিজাব নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে টিসি নিয়েছেন।

যেমন দক্ষিণ কর্নাটকের উদুপি জেলার সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলিতে বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হওয়া মোট ৯০০ মুসলিম ছাত্রীর মধ্যে ১৪৫ জন টিসি নিয়েছে।

তারা অন্য কোনও শিক্ষাঙ্গনে ভর্তি হয়েছেন কি না তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু টিসি নেওয়ার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের হিজাব মামলার শুনানিতে উত্থাপিত হয়েছে। প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতকে জানান, ইউনিফর্ম আগে নাকি শিক্ষা প্রথম। মুসলিম পক্ষের দাবি, হিজাব নিষিদ্ধ করে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বলা হয়, পরীক্ষা কেন্দ্রেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি হিজাব পরা ছাত্রীদের। মুসলিম পক্ষ প্রশ্ন তুলেছে, শিখ ছাত্ররা যদি পাগড়ি মাথায় ক্লাস করতে পারে, তাহলে মুসলিম মেয়েদের হিজাবে আপত্তি করা হচ্ছে কেন? তাদের আরও বক্তব্য, হিজাব পরা শুধু ধর্মীয় বিষয় নয়, এর সঙ্গে মুসলিম নারীর পোশাকের অধিকারের প্রশ্ন জড়িত।