লখনউ, ২৫ অক্টোবর– রক্ত পরিশোধনের মাশুল গুনতে হল শিশুদের৷ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের প্রাণ বাচাতে রক্তবদলই কাল হল৷ নির্দিষ্ট সময় অন্তর রক্ত বদল করতে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এরকম ১৪ জন শিশুর হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি ও এইচআইভির মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গিয়েছে৷ চিকিৎসকদের গাফিলতিতে অসুরক্ষিত রক্ত দেওয়ার অভিযোগ এই রোগ বলে অভিযোগ৷
কানপুর লালা লাজপত রাই সরকারি হাসপাতালের এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে দেশে৷ আক্রান্ত শিশুরা সকলেই থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত, সেই কারণেই রক্ত বদল করাতে হয় নিয়মিত৷ সাধারণ ব্লাড ট্রান্সফিউশনের আগে রক্ত পরীক্ষা করে নেওয়া হয় হাসপাতালে৷ ডোনারের থেকে নেওয়া রক্ত বা ব্লাড ব্য়াঙ্ক থেকে আসা রক্ত সুরক্ষিত কিনা তা পরীক্ষা করে তবেই ট্রান্সফিউসন করেন ডাক্তাররা৷ কিন্ত্ত এক্ষেত্রে তা করা হয়নি বলেই দাবি৷
আক্রান্ত শিশুদের পরিবার জানাচ্ছে, বাচ্চারা একেই থ্যালাসেমিয়ার মতো অসুখে ভুগছে৷ তার উপর হেপাটাইটিস ও এইচআইভির মতো মারণ অসুখে আক্রান্ত হল তারা৷ সবটাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের গাফিলতিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা৷হাসপাতালের পেডিয়াট্রিকস বিভাগের প্রধান তথা নোডাল অফিসার ডা. অরুণ আর্য বলেছেন, ‘রক্ত পরিবর্তনের সময়ে এই ধরনের সংক্রমণ ছডি়য়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে৷ আপাতত হেপাটাইটিস আক্রান্ত রোগীদের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে৷ এইআইভি আক্রান্ত শিশুদের কানপুরে স্থানান্তর করা হয়েছে৷“চিকিৎসকরা বলছেন, এইচআইভি আক্রান্তদের নিয়েই চিন্তা সবচেয়ে বেশি৷ একেই থ্যালাসেমিয়া, তার উপরে এইচআইভির কারণে বিপদ আরও বাড়ল বলেই মনে করছেন তাঁরা৷
বর্তমানে ওই হাসপাতালে নিয়মিত ১৮০ জন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রক্ত পরিবর্তন বা ব্লাড ট্রান্সফিউশনের জন্য আসেন৷ প্রতি ছয় মাস অন্তর তাদের সমস্ত সংক্রামক রোগের জন্য পরীক্ষা করা হয়৷ আক্রান্ত ওই ১৪ জন শিশু ব্লাড ট্রান্সফিউশনের জন্য এসেছিল. তাদের বয়স ৬ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে৷ এদের মধ্যে ৭ জন হেপাটাইটিস-বি, ৫ জন হেপাটাইটিস-সি এবং ২ জন এইআইভি-তে আক্রান্ত হয়েছে৷