• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে আদানি ডোবায় ফায়দায় ১২টি বিদেশি সংস্থার 

মুম্বই, ২৯ আগস্ট– কথায় আছে ‘কারুর মহাসর্বনাশ, কারুর পৌষমাস’। ঠিক এমনই অবস্থা আদানি গোষ্ঠীর।  নিউ ইয়র্কের শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসার পর কার্যত ধস নেমেছিল আদানিদের শেয়ারে। কিন্তু সেই রিপোর্টের জেরে আদানিদের যখন অবস্থা বেগতিক, ঠিক তখনই লাভের মুখে ১২টি শর্ট সেলিং সংস্থার। যার অধিকাংশই আবার বিদেশি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ইডির

মুম্বই, ২৯ আগস্ট– কথায় আছে ‘কারুর মহাসর্বনাশ, কারুর পৌষমাস’। ঠিক এমনই অবস্থা আদানি গোষ্ঠীর।  নিউ ইয়র্কের শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসার পর কার্যত ধস নেমেছিল আদানিদের শেয়ারে। কিন্তু সেই রিপোর্টের জেরে আদানিদের যখন অবস্থা বেগতিক, ঠিক তখনই লাভের মুখে ১২টি শর্ট সেলিং সংস্থার। যার অধিকাংশই আবার বিদেশি।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ইডির তদন্তে উঠে এসেছে ১২টি সংস্থার নাম, যারা আদানিদের শেয়ার শর্ট সেলিং করে বিপুল মুনাফা পেয়েছে। এই সংস্থাগুলির মধ্যে ৩টি ভারতীয়। একটি আবার এক বহুজাতিক ব্যাংকের ভারতীয় শাখা। চারটি সংস্থা মরিশাসের। লন্ডন, ফ্রান্স, হংকং, ক্যামান দ্বীপ, আয়ারল্যান্ডের একটি করে সংস্থা বিপুল লাভের মুখ দেখেছে।

সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল, এই সংস্থাগুলির অধিকাংশই হঠাৎ গজিয়ে ওঠা। এই সংস্থাগুলির মধ্যে কয়েকটি হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট পেশ হওয়ার কয়েকদিন আগে থেকে ব্যবসা শুরু করেছে। কয়েকটি আবার আদানিদের শেয়ার বিক্রি দিয়েই শর্ট সেলিং শুরু করে। আবার এই সংস্থাগুলির মালিকানা কাদের হাতে সেটাও স্পষ্ট নয়। অর্থাৎ এদের পুরো গতিবিধিই সন্দেহজনক। অথচ, আদানিদের লোকসানে এরাই সবচেয়ে লাভবান হয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের উদ্দেশ্য নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আদানিদের ধাক্কা দিয়ে অন্য সংস্থাকে লাভবান করতেই ওই রিপোর্ট কিনা প্রশ্ন উঠেছে। ইডি ইতিমধ্যেই সেবিকে সব তথ্য তুলে দিয়েছে।