লন্ডন, ১১ ডিসেম্বর– হু হু করে বাড়ছে শীত৷ হবেই বা না কেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে বছর৷ এই সময় মানে শীত কিন্তু সবারই প্রিয়৷ কারণ এই সমিয়ে জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া, ঘোরাফেরা করা যায়৷ আবার অন্যদিকে, এই সময় কিছু অসুখেরও ঘর৷ যেমন সর্দি-কাশি৷ ঋতু পরিবর্তনের সময় বা কনকনে ঠান্ডা হাওয়া লেগে অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন৷ তবে এবার সর্দি-কাশি হলে হতে হবে একটু বেশিই সতর্ক৷ কারণ, বিশ্বের নানা প্রান্তে ছডি়য়ে পড়ছে আরও এক অতি সংক্রামক রোগ৷ এটি আবার ১০০ দিনের কমে কমছে না৷ লেগেই থাকছে সর্দি-কাশি৷ পরে তা আরও শারীরিক জটিলতার সৃষ্টি করছে৷ সম্প্রতিই ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই অতি সংক্রামক রোগ নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন৷ এই রোগকে তাই নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ দিনের কাশি’৷
জানা গিয়েছে এই সংক্রমণ ব্রিটেনে হু হু করে ছডি়য়ে পড়ছে৷ বিগত কয়েক মাসেই এই সংক্রমণ ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা সর্দি-কাশি থেকে উপসর্গ দেখা দিলেও পরে তা গুরুতর সংক্রমণের আকার নিচ্ছে৷ টানা তিন মাস অবধি এই সর্দি-কাশি থাকতে পারে৷ ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সিকিউরিটির তরফে জানানো হয়েছে, জুলাই থেকে নভেম্বর মাসের মধ্য়ে ৭১৬টি এই ধরনের সংক্রমণ রিপোর্ট হয়েছে৷ মূলত ফুসফুসে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হচ্ছে৷ ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে৷
হুপিং কাশি বা পার্টুসিস হল ফুসফুস ও শ্বাসনালীতে সংক্রমণ, যা বর্ডেটেলা পার্টুসিস ব্যাকটেরিয়া থেকে ছড়ায়৷ শিশুরা এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হলে, তা প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে৷ তবে ১৯৫০ সালে এক ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়৷ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শুধু শিশুরাই নয়, প্রাপ্তবয়স্করাও এই সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছে৷ ১০০ দিনের কাশি থেকে হার্নিয়া, পাঁজর ফুলে যাওয়া, কানে সংক্রমণ ও প্রস্রাবে সমস্যাও দেখা দিতে পারে৷
