লখনউ, ৩ জুন– এই ঘাটে শবদেহ কবর দেওয়ার রীতি বহু পুরনো। কোভিডের সময় শয়ে শয়ে দেহ কবর দেওয়া হয়েছিল এই ঘাটে। কিন্তু যে হারে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল প্রশাসনকে, তার পর থেকেই ওই ঘাটে কবর দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু তার পরেও কবর দেওয়া বন্ধ হয়নি। সেই দেহ আবার বালির নীচে বেরিয়ে আসায় ‘অস্বস্তিতে’ প্রশাসন।
আর এই দৃশ্যই আবার দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে গঙ্গার তীরে। যে দৃশ্য স্মৃতি উস্কে দিয়েছে করোনা অতিমারির দ্বিতীয় স্ফীতিতে। যে দৃশ্য একাধিক প্রশ্ন আর সমালোচনার মুখে ফেলেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকারকে।
সেই ফাফামউ ঘাটেই আবার একই দৃশ্য ধরা পড়েছে সম্প্রতি। যা নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর,
জেলা প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, যে ভাবে রীতি-রেওয়াজের নামে এই ঘাটে কবর দেওয়া চলছে, তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। এ প্রসঙ্গে প্রয়াগরাজের মেয়র জানিয়েছেন, জনসাধারণকে এ বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে যাতে এ ভাবে গঙ্গার পাড়ে বালির নীচে শবদেহ কবর দেওয়া না হয়। কিন্তু তার পরেও যদি এমন ঘটনা ঘটে, সেই শবগুলির শেষকৃত্যের দায়িত্ব নেবে নগর নিগম। মেয়র আরও জানিয়েছেন, সামনেই বর্ষাকাল। গঙ্গার জল বাড়লে পাড়ে কবর দেওয়া শবদেহগুলি জলের সঙ্গে ভেসে যেতে পারে। ফলে গঙ্গার জল দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাই ওই দেহগুলির শেষকৃত্যের দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নগর নিগম।
২০২১ সালে কোভিডের দ্বিতীয় স্ফীতিতে দেশ জুড়ে মৃত্যুমিছিল দেখা গিয়েছিল। সেই সময় প্রয়াগরাজের এই ফাফামউ ঘাটে কোভিডে মৃত ব্যক্তিদের পরিজনরা দেহ কবর দিয়েছিলেন। শয়ে শয়ে দেহ গঙ্গার পাড়ে বালির নীচে কবর দেওয়া হয়। কিন্তু বর্ষার সময় সেই বালি ধুয়ে গিয়ে দেহগুলি উন্মুক্ত হয়ে যায়। যে ছবি দেশজুড়ে ভাইরাল হয়েছিল। আবারও সে রকম দৃশ্য প্রকাশ্যে এল এবং ঘটনাচক্রে সেই প্রয়াগরাজেই। যা নিয়ে আবারও প্রশ্নের মুখে প্রশাসন।