চিকিৎসক ‘মৃত’ ঘোষণা করার পর জেগে উঠলেন যুবক,  সাসপেন্ড ৩ চিকিৎসক 

কয়েকঘন্টা আগেই মৃত্যু হয়েছিল যুবকের। চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করার পর নিয়মমাফিক যুবকের দেহ রাখা হয় হাসপাতালের মর্গে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরী হয়ে যাওয়ার পর সৎকারের তোড়জোড় চলছিল। আর তখনই ঘটে বিস্ময়কর ঘটনা। চিকিৎসকদের রিপোর্টকে মিথ্যে প্রমাণিত করে জেগে ওঠেন মৃত যুবক।  এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ওই হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা তিন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য সরকার।
 
ঘটনাটি ঘটে রাজস্থানের ঝুনঝুনু শহরের। রোহিতাশ নামে ওই যুবক ‘মা সেবা সংস্থা’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থার  আবাসনে থাকতেন। জানা গিয়েছে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন এবং বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ছিলেন ।ওই আবাসনের বাসিন্দারাই বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান। এরপর ওই বেসরকারি সংস্থার কর্তৃপক্ষ যুবককে ঝুনঝুনুর বিডিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল । সেখানে কিছুক্ষণ পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

হাসপাতাল এবং বেসরকারি সংস্থার দাবি,  ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফলে তাঁর ‘দেহ’ ‘বেওয়ারিশ ’ হিসাবে গণ্য করা হয়। হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ময়নাতদন্ত না করেই রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন  চিকিৎসকেরা। এরপর ওই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।

মৃত যুবকের দেহ এরপর সৎকারের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।  যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করার পর কমপক্ষে  চার ঘন্টা মর্গের ফ্রিজ়ারে রেখে দেওয়া হয়েছিল ‘দেহ’।

ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল হাসপাতালের মর্গে।এরপর পুলিশই যুবকের ‘দেহ’ সৎকারের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু দেহটি নিয়ে যাওয়ার সময়ে হঠাৎই জেগে ওঠেন ওই যুবক। সেই সময়  সেখানে উপস্থিত সকলে চমকে যান। কয়েক ঘন্টা ধরে মর্গে পড়ে থাকার পর কিভাবে ওই যুবক জেগে উঠলেন তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। 


এই ঘটনার খবর জানাজানি হতে রাজস্থানের রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর নড়েচড়ে বসে।  খতিয়ে দেখা হয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। হাসপাতালে পাঠানো হয় জেলাশাসক এবং এক পুলিশ আধিকারিককে।এই ঘটনায়  চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে। জেলাশাসকের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে  হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ পচার-সহ ২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।