হাসপাতাল এবং বেসরকারি সংস্থার দাবি, ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফলে তাঁর ‘দেহ’ ‘বেওয়ারিশ ’ হিসাবে গণ্য করা হয়। হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ময়নাতদন্ত না করেই রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন চিকিৎসকেরা। এরপর ওই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
মৃত যুবকের দেহ এরপর সৎকারের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করার পর কমপক্ষে চার ঘন্টা মর্গের ফ্রিজ়ারে রেখে দেওয়া হয়েছিল ‘দেহ’।
ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল হাসপাতালের মর্গে।এরপর পুলিশই যুবকের ‘দেহ’ সৎকারের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু দেহটি নিয়ে যাওয়ার সময়ে হঠাৎই জেগে ওঠেন ওই যুবক। সেই সময় সেখানে উপস্থিত সকলে চমকে যান। কয়েক ঘন্টা ধরে মর্গে পড়ে থাকার পর কিভাবে ওই যুবক জেগে উঠলেন তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।
এই ঘটনার খবর জানাজানি হতে রাজস্থানের রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর নড়েচড়ে বসে। খতিয়ে দেখা হয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। হাসপাতালে পাঠানো হয় জেলাশাসক এবং এক পুলিশ আধিকারিককে।এই ঘটনায় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে। জেলাশাসকের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ পচার-সহ ২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।