কলকাতা:- অনেকেই রান্নার সময় কুমড়ার বীজ ফেলে দেন। কিন্তু জানেন কি এই ফেলে দেওয়া কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি গুণ রয়েছে। এতে প্রোটিণ, আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ও বিটা ক্যারোটিন থাকে। নিয়মিত যদি এই বীজ খাওয়া যায় তাহলে শরীরের নানা সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেশিয়াম , জিঙ্ক এবং ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে -যা হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কুমড়ার বীজ খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও কার্যকরী।
•যাদের শরীরে ম্যাগনেশিয়াম কম থাকে তাদের ডায়াবেটিস দেখা দেয়। দিনের চাহিদা প্রায় ৩৭ ভাগ ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় ৩০ গ্রাম পরিমাণ কুমড়ার বীজে।এ কারণে নিয়মিত এটি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
•ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজের সেরা উৎস হচ্ছে কুমড়ার বীজ। এ কারণে এটি খেলে হজম ভালো হয়। কুমড়ার বীজ ওজন কমাতেও দারুন কার্যকরী।
•কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এটি শরীরের ইলেক্টোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
•ভালো ঘুমে সহায়তা করে কুমড়ার বীজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ঘুমের সমস্যা হয় তবে ঘুমানোর আগে কুমড়োর বীজ খাওয়ার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। এটা ট্রিপটোফ্যানের একটি প্রাকৃতিক উৎস, যা মূলত একটি অ্যামিনো অ্যাসিড। ফলে ঘুম ভালো হয়।
•ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখা
কুমড়ার বীজ ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্যও খুব উপকারী। এতে কিউকারবিটাসিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধিকারক এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড। এছাড়াও এতে রয়েছে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা চুলকে শক্তিশালী ও চকচকে রাখতে সাহায্য করে। কুমড়োর বীজ ভিটামিন ই এবং ক্যারোটিনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। যদিও কুমড়োর বীজে ক্যালোরি বেশি। তবে সেগুলো প্রোটিন সমৃদ্ধ। তাই পরিমিত পরিমাণে কুমড়ার বীজ খাওয়া উপকারী।