কলকাতা:- অনেকেই দুপুর বেলা শেষ পাতে নিয়মিত দই খেয়ে থাকেন। আবার গরমের দিনে দই-এর লস্যি অনেকেরই অন্যতম পছন্দের একটি ঠান্ডা পানীয়। এছাড়াও বিভিন্ন রান্নার উপকরণ হিসেবেও দই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।নিয়মিত দই খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুবই উপকারী। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম থাকে। যা দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করেন। নিয়মিত দই খেলে আর্থারাইটিসের মতো সমস্যার হাত থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়।
•টক দইয়ে প্রোবায়োটিক উপাদান থাকে যা আমাদের হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান পেটের বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করে। পাশপাশি দুধে থাকা ল্যাক্টটিক অ্যাসিড দইয়ে পরিনত হওয়ার পর নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। ফলে যারা ল্যাক্টোস ইন্টলারেন্স ভোগেন তাঁদের জন্যও দই খুব উপকারী।
•ত্বক উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে টক দই। ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে টক দই। তাই রূপচর্চার ক্ষেত্রে ঘরোয়া ফেস প্যাকে টক দই খুবই কার্যকারী।
•টক দইয়ে প্রোবায়োটিক উপাদান থাকার ফলে রক্তের শ্বেত কণিকা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এর ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
•শরীরে কোলেস্টোরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখে টক দই। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হার্ট সুস্থ রাখতে টক দই খুব উপকারী।
•শরীরে কোলেস্টোরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে টক দই খুবই উপকারী। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হার্টকে সুস্থ রাখে।
•আমাদের শরীরে করটিসোল নামক হরমোনের তারতম্যের ফলে তলপেটে বেশি মেদ জমে। টক দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম এই করটিসোল হরমোন তৈরির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর ফলে ওজন কমে।
•টক দইয়ে একপ্রকার প্রোটিন থাকে যা সহজ পাচ্য। এই প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই ডায়বেটিস রোগীদের পক্ষে নিয়মিত টকদই খাওয়া খুবই উপকারী।
•ভিটামিন ও প্রাকৃতিক খনিজ উপাদানে পরিপূর্ণ টক দই শরীর চাঙ্গা রাখতে খুবই কার্যকরী। এছাড়া দইয়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সডিন্ট রয়েছে। তাই শরীরচর্চার পর টক দই খেলে উপকার পাবেন।