কলকাতা:- ছোটো থেকে বড়ো প্রায় সবাই শরীর নিয়ে সচেতন। সামান্য ওজন বাড়লে সকলের মাথায় হাত পড়ে যায়। ওজন বৃদ্ধি শুধুমাত্র সৌন্দর্যকেই প্রাভাবিত করে না, বরং স্বাস্থ্যেও এর বাজে প্রভাব পড়ে। ওজন বাড়ার ফলে শরীরে নানা রকম রোগের বাসা বাঁধে। তাই অনেকেই ওজন নিয়ে সচেতন থাকার চেষ্টা করেন। আপনিও এমন কোনও চিন্তা ভাবনা করে থাকলে ওজম ও পেটে জমে থাকা মেদ কমানোর জন্য তিসি খেতে পারেন। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য আমরা অনেক কিছুই করে থাকি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। শারীরিক কসরতের পাশাপাশি সঠিক খাওয়াদাওয়াতে রাশ না টানলে এতো খাটা-খাটনি সব বেকার। নিয়মিত ডায়েটে পুষ্টিগুণ বাড়াতে অনেকেই এই ফ্লাক্স সিড বা তিসি বীজ ব্যবহার করে থাকেন। এতে আছে প্রোটিন, ফাইবার হেল্দি ফ্যাট, ক্যালশিয়াম ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আবার এতে উপস্থিত ফাইবার পাচন শক্তি ও মেটাবলিজমকে উন্নত করে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, নিয়মিত ৩০ গ্রাম ফাইবার খেলে শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরানো যায়। জেনে নিন তিসির বীজে উপস্থিত ঔষধীয় গুণ কী ভাবে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
১) নির্দিষ্ট পরিমাণে তিসি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এর ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ অংশ সুস্থ ও কার্যকরী থাকে।
২) তিসিতে উপস্থিত ওমেগা-৩ রক্ত প্রবাহ উন্নত করে। এটি রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কম হয়। রক্তে উপস্থিত কোলেস্টেরল কম করতে সাহায্য করে এই ফ্লাক্স সিড।
৩) তিসিতে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যালস বার্ধক্যের লক্ষণ কম করে। এর ফলে ত্বকে বলিরেখা দূর করে এবং ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতেও সহায়তা করে।
৪) তিসির বীজে আল্ফা লাইনোইক অ্যাসিড পাওয়া যায়। অথ্রাইটিস, অ্যাস্থমা, ডায়বিটিস ও ক্যান্সারের মোকাবিলায় এটি সহায়তা করে। বিশেষক কোলোন ক্যান্সারের মোকাবিলায় তিসির বীজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৫) এতে উপস্থিত লাইগন অন্ত্রে সক্রিয়। যা ফিমেল হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৬) তিসির তেল দিয়ে মালিশ করলে শরীরের অঙ্গ সুস্থ থাকে এবং ভালো ভাবে কাজ করে। এই তেল দিয়ে মুখে ম্যাসাজ করলে ত্বক উজ্জ্বলতা বাড়ে।