অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করেছে, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন থেকে মানুষের শরীরে রক্ত ​​জমাট বাঁধতে পারে

দিল্লি, ৩০ এপ্রিল:  কোভিশিল্ড নির্মাণকারী সংস্থা যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এস্ট্রোজেনেকা স্বীকার করে নিয়েছে যে, তাদের তৈরি করোনার টিকা নেওয়ার পর মানুষের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা এবং প্লেটলেট সংখ্যা কমে যাওয়ার মতো বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। বিষয়টি প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের একটি দৈনিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা আদালতে একটি রিপোর্ট জমা দিয়ে জানিয়েছে, তাদের তৈরি করোনার টিকা “কয়েকটি বিরল ক্ষেত্রে, টিটিএস ঘটাতে পারে”। অর্থাৎ টিটিএস বা থ্রম্বোসিস উইথ থ্রোম্বোসাইটোপেনিয়া সিন্ড্রোম এমন একটি অবস্থা যা রক্ত জমাট বাঁধতে পারে এবং শরীরে প্লেটলেটের সংখ্যা কমতে পারে। এই প্রতিবেদন অনুসারে, ফার্মা মেজরটির বিরুদ্ধে ইউকে হাইকোর্টে ৫১টি মামলা দায়ের হয়। যার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তরা ১০০ মিলিয়ন জিবিপি পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। ক্লাস অ্যাকশন মামলায়, ভুক্তভোগী এবং শোকার্ত আত্মীয়রা মৃত্যু এবং গুরুতর জখমের অভিযোগ করেছেন।

প্রসঙ্গত করোনা ভাইরাসের মহামারী চলাকালীন অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কোভিশিল্ড টিকা তৈরি করা হয়েছিল। ভ্যাকসিনটি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট দ্বারা উৎপাদিত হয়েছিল। যা মহামারী চলাকালীন দেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়েছিল।

এই টিকার ফলে দেশে আকস্মিক হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা ভারতে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) একটি বহু-কেন্দ্রে গবেষণার পরে জানিয়েছে  যে, হঠাৎ মৃত্যু কোভিড টিকার সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত নয়।


ইতিমধ্যে, বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস সহ বিরোধীরাও নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে। তারা প্রশ্ন তুলেছে যে, এই কারণেই কি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নির্মাণ সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া, বিজেপিকে নির্বাচনী বন্ডে ৫০ কোটি টাকা দিয়েছে! কংগ্রেস নেতা বিভি শ্রীনিবাস বলেন, “থ্যাঙ্ক ইউ মোদীজি ব্যানার এখন কোথায়? প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নীরব কেন? এই কারণেই কি অল্প বয়সে হৃদরোগে মৃত্যু ঘটছে? এই কারণেই কি বিজেপি সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৫০ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড নিয়েছিল?