চোখ ভালো রাখতে খান এই ১০ খাবার

সারাদিন অফিসে ল্যাপটপ-ডেস্কটপে চোখ, বাড়ি ফিরে মোবাইল ঘাঁটা কিংবা টিভির পর্দায় চোখ রাখা – বর্তমানের চটজলদি জীবনে আমাদের চোখ সর্বক্ষণই ব্যস্ত থাকছে। আর তাই চোখের রোগও বাড়ছে। ৮ থেকে ৮০, সব বয়সের মানুষদেরই চোখের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। চোখের দৃষ্টিশক্তিও কমে যাচ্ছে অনেকের। ছানি, গ্লুকোমা সহ অন্যান্য সমস্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এটা জানা জরুরি যে আপনার চোখের পক্ষে কোন কোন খাবার উপকারী। এই প্রতিবেদনে আমরা তা নিয়েই আলোচনা করব।

কাজুবাদাম এবং বাদাম চোখের জন্য খুবই উপকারী। ছানি প্রতিরোধে এগুলির জুড়ি মেলা ভার। ভুট্টার মধ্যে থাকা ক্যারোটিনয়েড চোখের অন্যতম অংশ রেটিনা ভালো রাখতে বড় ভূমিকা নেয়। নীল আলো থেকে চোখের যা ক্ষতি হয়, তা রুখতে ভুট্টা অত্যন্ত কার্যকরী। প্রতিদিন তিন বা তার বেশি কিউই ফল ম্যাকুলার অবক্ষয় রোধে সাহায্য করে। আঙুরে উপস্থিত রেসভেরাট্রল ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি এবং রেটিনোপ্যাথি থেকে রক্ষা করতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

পালং শাক রাইভোফ্লাভিন এবং থিয়ামিনের পাশাপাশি লুটেন, বিটা ক্যারোটিন, ক্লোরোফিলিন এবং জ্যান্থিন থাকে। শুধু চোখই নয়, কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ থেজে রক্ষার পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্র ঠিক রাখতে পালং শাকের জুড়ি মেলা ভার। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাকুলার ক্ষয়ও বৃদ্ধি পায়। পালং শাক এই ক্ষয় ঠেকানোর কাজ করে থাকে৷


কমলালেবুতে মূলত ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে এতে। আলফা ক্যারোটিন, বিটা-ক্যারোটিন, বিটা-ক্রিপ্টোক্সানথিন, জিক্সানথিন, ফাইবার, ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস এবং লুটেনের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো। মিষ্টি আলুতে থাকা ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি এবং ফাইবার ক্ষতিগ্রস্ত চোখের কোষগুলি ঠিক করতে সাহায্য করে।

সলমন, টুনাতে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এইসব মাংসল মাছ চোখের মধ্যে থাকা তরলের প্রবাহ ঠিক রাখে। গ্লূকোমা সহ চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধেও কার্যকরী এইসব মাছ। এছাড়াও চোখের জন্য উপকারী – ব্রকোলি, মটরশুঁটি, আমলকি, গাজর, টমেটো, পেঁপে, সবুজ মটর।