ভদোদরা, ২৫ অক্টোবর– মোরবি উস্কে ফের ভেঙে পড়ল সেতু৷ ফের ফের সেতু দুর্ঘটনা নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহর রাজ্য গুজরাতে৷ নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে মৃতু্য হল দু’জনের৷ ধ্বংসস্তূপের তলায় আরও কয়েকজন চাপা পডে় রয়েছেন বলে আশঙ্কা৷
সব মিলিয়ে নতুন করে চাপ বাড়ল বিজেপি শাসিত গুজরাত সরকারের উপর৷ এবার ঘটনাস্থল পালনপুর৷ সোমবার উত্তর গুজরাতের বনসকাঁটা জেলার ওই শহরে একটি নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পডে়৷ বনসকাঁটার জেলাশাসক বরুণকুমার বারণওয়াল মঙ্গলবার বলেন, “দুপুর তিনটে নাগাদ পালনপুর থানার অদূরে ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়কের আরটিও-র পাশে রেললাইনের উপর নির্মীয়মাণ সেতুর একটি খুঁটি এবং ছ’টি কংক্রিটের গার্ডার ভেঙে পডে়৷” তিনি জানান, দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে৷ ধ্বংসস্তূপের নিচে কেউ চাপা পডে় রয়েছেন কি না, তার খোঁজ চলছে৷ সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ছডি়য়ে পডে়ছে ওই দুর্ঘটনার একটি ভিডিও৷ তাতে দেখা দেখা যাচ্ছে, সেতু ভেঙে চালক ও আরোহী-সহ একটি অটোরিকশা এবং একটি ট্রাক্টর চাপা পড়ছে৷
পুলিশ জানিয়েছে, অটো রিকশাটি সেতুর নিচে দাঁড় করানো ছিল৷ তাতে বসেছিলেন একজন৷ একটি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ মৃত দু’জনের একজন অজয় শ্রীমালি (৩০), অন্যজন ময়ূর পারমার (২০)৷ ভেঙে পড়া সেতুর নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি বা দুর্নীতি ছিল কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা৷ ঘটনাচক্রে রাস্তা এবং ভবন বিভাগের দায়িত্ব খোদ মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের হাতেই৷ তিনি তডি়ঘডি় সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের দল পাঠিয়েছেন পালনপুরে৷ প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের মোরবিতে সদ্যনির্মিত একটি ‘ফুট ব্রিজ’ ভেঙে পডে়ছিল৷ খোলার চার দিনের মাথায় ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর মাচ্ছু নদীর উপর তৈরি সেতুটি ভেঙে পডে়৷ মারা যান ১৩৫ জন৷ দুর্ঘটনার সময় সেতুর উপর ছিলেন ৩০০ জন৷ প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ভার রাখতে পারেনি বলে পুরনো সেতুটি ভেঙে পডে়ছিল৷ তদন্তে জানা যায়, সেতুর সংস্কারে খামতি ছিল৷ সে কারণেই বিপর্যয়৷ সংস্কারের দায়িত্বে ছিল ওরেভা সংস্থা৷ যারা অজন্তা ব্র্যান্ডের ঘডি় তৈরি করে৷ বিজেপি পরিচালিত পুরসভা সেতু সংস্কারে দু’কোটি টাকা বরাদ্দ করলেও সংস্থাটি মাত্র ১২ লক্ষ টাকা খরচ করেছিল৷