বৃষ্টি না হওয়ায় আমন ধান চাষের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা

গোপেশ মাহাত, ঝাড়্গ্রাম–  গ্রীষ্মের শুরু থেকেই এবছর বৃষ্টিপাত অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই কম। এবার জুন মাসেও সে তুলনায় বৃষ্টি না হওয়ায় আমন ধান চাষের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। জুলাই মাসের শুরু থেকে আমন ধানের বীজতলা তৈরির ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে বরো ধান ঘরে তুলেছেন কৃষকরা। এখন আমন ধান চাষের দিকে তাকিয়ে তারা। ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে বরো ধানের তুলনায় অনেক বেশি চাষ হয় আমন ধান। এই ধান চাষের উপর একটা বড় অংশের কৃষকদের মূল রুটিরুজি নির্ভর করে। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত বছরগুলির তুলনায় এবার মে এবং জুন মাসে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের হার যথেষ্ট কম।

জানা গিয়েছে, গত দশ বছরে মে মাসে গড়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৪২.৫৪ মিলিমিটার। আর জুন মাসে ১৭৮.৮৬ মিলিমিটার। কিন্তু এবছর মে মাসে বৃষ্টি হয়েছে ১১৫.৮ মিলিমিটার। আর জুন মাস এখনও পুরো শেষ হয়নি। এখনও পর্যন্ত জুন মাসে ১৪ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৫৮.৪ মিলিমিটার।  ২০২২ সালে মে মাসে বৃষ্টিপাত হয়েছিল ১৪১.৭ মিলিমিটার। জুন মাসে বৃষ্টিপাত হয়েছিল ৭৮.২ মিলিমিটার। ২০২৩ সালে মে মাসে বৃষ্টিপাত হয়েছিল ১২৪ মিলিমিটার। জুন মাসে বৃষ্টি হয়েছিল ১২৯.৬ মিলিমিটার। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলাই মাসের শুরুতেই আমন ধানের বীজতলা ফেলা হয়। এরপর ১৫ জুলাই থেকে পুরো মাত্রায় ধান লাগানো শুরু হয়ে যায়। এবার আমন ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা রয়েছে এক লক্ষ ৫১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে।

 


অন্যদিকে বরো ধান লাগানো হয়েছিল ৩০ হাজার ১৫৭ হেক্টর জমিতে। সেই ধান ইতিমধ্যে ঘরে তুলেছেন কৃষকরা। সেজন্য এবার কৃষকরা তাকিয়ে থাকবেন আকাশের দিকে। জুন মাসে এখনও পর্যন্ত যা বৃষ্টিপাত হয়েছে, তাতে লক্ষ্য মাত্রা আদৌ ছোঁওয়া সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।  একটা বড় অংশের কৃষক এই চাষের উপর নির্ভর করেন। তাঁরা ঋণ নিয়েও চাষ করেন। তাই বর্ষার আগমনের দিকে তাকিয়ে তাঁরা। ঝাড়গ্রাম জেলা কৃষি দফতরের সহ অধিকর্তা (তথ্য) সুকুমার কিস্কু বলেন, “বিগত বছরগুলির তুলনা এবার মে এবং জুন মাসে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের হার  যথেষ্ট কম। জুলাই মাসের শুরুতেই আমন ধানের বীজতলা ফেলা হবে। আশা করা যায়, এর মধ্যে বর্ষা শুরু হয়ে যাবে। ”