চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে উঠে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা। ফের কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের ভর্ৎসনার মুখে পড়লো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০০ জন চাকরিপ্রার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও মেধা তালিকায় স্থান পায়নি। অথচ অযোগ্যদের মেধা তালিকায় স্থান দিয়ে কীভাবে নিয়োগের প্রস্তাব? প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালত সুত্রে প্রকাশ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ২০১১ সালে লিখিত পরীক্ষা হয়। কিন্তু সেই লিখিত পরীক্ষা পরবর্তী সময় বাতিল হয়ে যায়। পরে আবার লিখিত পরীক্ষা হয় ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ। এরপর ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এখন ২০০ জন মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর অধিক থাকা সত্ত্বেও, তাঁরা মেধা তালিকায় স্থান পাননি বলে অভিযোগ। যে কারণে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন’।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করার পর বিচারপতি মূল মামলার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ এর আইনজীবীকে বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, ‘আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তারা রিপোর্ট জমা দিল না’। যদিও আইনজীবী জানিয়েছেন ‘আরও খানিকটা সময়ের প্রয়োজন রয়েছে।’ এরপর বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চান, ‘আপনাদের দেওয়া তথ্য-ই বলছে মামলাকারী বেশি নম্বর পেয়েও স্থান পেলেন না, অথচ তার চেয়ে কম নম্বর পেয়েও চাকরি করছেন! কী করে?’ এই প্রসঙ্গে যাঁরা যাঁরা মামলায় নতুন করে যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের রিপোর্ট এবং মূল মামলার রিপোর্ট আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।